বহু দম্পতির গোমট বাঁধা বোবা কান্নায়,
ঘরের চার দেয়াল ভারী হতে দেখেছি-শুধু একটি পুত্র সন্তানের জন্য!
আদিম অসহায় মানুষের মত,
যত্র-তত্র ছুটে যেতে দেখেছি উল্কার বেগে।
তাবিজ-তুমারে শরীর ভারী করে,
একের জন্য আনতে দেখেছি দশ ক্ষুদ্র সংসারে।
কিংবা দেখেছি পুত্রে-পুত্রে ঘর ভরে গেছে,
সাধের কন্যা আর আসেনা কোলে!
মাথায়-ললাটে হাত ঠেকিয়ে বলছেন,হায় নিয়তি কি দিলে এ কপালে?
যেটাকেই আমরা নিয়তি বলি,থাকি অসহায় তার কাছে,
বিজ্ঞান দেয় তার সমাধান,অসহায়ত্বের বন্ধন যায় খুলে।
এবার আসুন জানি এ সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে-
মানুষের কতটুকু সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ,সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে?
প্রতি মাসেই নারীর শরীরে ডিম্বাশয় থেকে ডিম আসে গর্ভাশয়ে-
সৃজনের মহা সম্ভাবনা নিয়ে।
যদি কভু ব্যর্থ হয় নিষেকে উপযুক্ত সঙ্গী স্পার্মের অভাবে-
অভিমানে ভেঙেচূড়ে বিদ্ধস্ত হয়ে ঝরে রক্ত ও রস সহকারে!
ইহাই ঋতুঝড়,যা নারীর শরীরে ঋতু স্রোত আনে।
এই স্রোত চলাকালে,
দশম থেকে অষ্টাদশ দিনের মধ্যে ঘটে ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত।
নারীর উর্বর গর্ভধারনের উপযুক্ত সময়,
এই ওভিউলেশনের পূর্বের তিন দিন থেকে পরের দিবা-রাত।
নারীতে থাকে কেবল X ধারী ডিম্বানু,
আর পুরুষের থাকে X ওY দুই ধারী শুক্রানু।
পুরুষের X যদি মিলে নারীর X এর সাথে,
তবে X X রূপী কন্যা আসে ধরাতে।
আবার পুরুষের Y যদি মিলে নারীর ঐ X এর সাথে,
তবে X Y ধারী পুত্র আসে কোলেতে।
X ধারী শুক্রানু দীর্ঘ দেহধারী,চলে অতি ধীরে ধীরে-
কিন্তু বেঁচে থাকে নারীদেহে দীর্ঘ কাল ধরে।
অন্যদিকে Y ধারী বিপরীত X ধারী থেকে-
ক্ষুদ্রকায় দেহ নিয়ে অতি দ্রুত চলে,নারীদেহে যাহা খুব ক্ষনকাল বাঁচে।
তাহলে এখন করনীয় কি হবে?
পীর,ফকির,দরবেশ নয় যেতে হবে বিজ্ঞানেরই দ্বারে-
ওভিউলেশন দিবসেই সারতে হবে লীলা পুত্র সন্তান লভিলে।
ফলে দ্রুতগামী Y শুক্রানু X কে পরাস্ত করিয়া ডিম্বে দুর্দান্ত গোল দিবে।
ডিম্বের X আর শুক্রের Y মিলে কাঙ্ক্ষিত X Y রূপী পুত্র-জাইগোট হবে।
তদ্রুপ যদি চাও শখের কন্যা সন্তান,
তবে লীলা তোমার করতে হবে সাঙ্গ ঠিক তার দুই থেকে তিন দিন আগে,
যেদিন নারী পার্টনারের দেহে ঐ কাঙ্ক্ষিত ওভিউলেশন আসবে।
ফলে ক্ষনজীবী Y শুক্রানু সব আগেভাগেই মরবে,
ওভিউলেশনের তরে কেবল X শুক্রই রবে।
শুক্রের X আর ডিম্বের X মিলেমিশে একাকার,কন্যা হবে বেশ।


05/02/2015
6:55 pm
d.m.