মিলন হবে কত দিনে,আমার মনের মানুষেরও সনে?
এ যুদ্ধময় প্রতীক্ষা শুধু যৌবনে চলে না,চলে জন্মেরও বহু আগে থেকেই।
সেই যেদিন পিতা স্খলন করেছেন অমূল্য সম্পদ-
তাঁর জীবন সঙ্গিনীর প্রবেশদ্বারে,
আমার মিলনের প্রতীক্ষা ঠিক সেদিন থেকেই।
সেদিন আমাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য,
আর প্রবেশদ্বারেই ঠেলাঠেলির এক ভীষণ প্রতিযোগিতায়,
লক্ষ লক্ষ স্বগোত্রীয়কে দলন- পীড়নে পরাস্ত করে,
আমাকে জানান দিতে হয়েছিল-নিজে বাঁচলেই বাপের নাম রক্ষা পায়।
অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলল যুদ্ধক্ষেত্রের সরু পথ-
সেখানেও যুদ্ধ,সরুপথ দিয়ে যেতে যেতে,
আমি পরাস্ত করে পেছনে ফেলেছি আমার আরও লক্ষ প্রতিযোগী।
যুদ্ধক্ষেত্রে ঢুকে দেখি- এ আর কোন কিছু নয়,
আগাগোড়া  প্রথম হওয়ার জন্য দৌড়ের ঝড়- ঝাক্কি।
এ দৌড়ে সবার আগে যে পৌঁছাবে, সেই হবে বিজয়ী-
পাবে  জীবন গঠনের কাঙ্ক্ষিত বিপরীত সঙ্গী।
ভাবছেন আমি কে?
হ্যাঁ আমি শুক্রানুু, আমার মিলনের যাত্রা-
সেই পিতৃথলি,পিতৃদণ্ড,মাতৃনালী হয়ে, মাতৃডিম্বাশয় হতে নেমে আসা মাতৃগর্ভের কাঙ্ক্ষিত ডিম্বানু,
যাকে নিষেকের মাধ্যমে কেবলই আমার করে নেয়া,
আর আমার অস্তিত্বের জানান দিয়ে সগৌরবে ঘোষণা করা-
বল বীর চির উন্নত মম শির,
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া, উঠিয়াছি চিরবিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!


08/03/2015
12:27 pm
gcc