একাত্তরের পরাজিত শক্তি,
বার বারই চেয়েছে বাংলার ঐতিহ্যেকে ভূলুন্ঠিত করতে।
কিন্তু বাঙালি প্রতিবারই পদদলিত করেছে তাদের সে অপপ্রয়াসকে।
রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ,বাঙালি ঐতিহ্যের চিরায়ত ধরন।
তাদের- মানে ঐ বেজন্মাদের পছন্দ হয়নি এ আয়োজন,
তাই পবিত্র বোমার আঘাতে ছত্রখান করতে চাইল বৈশাখী মিলন।
কত মূর্খ এরা-এদের কাছে জীবন, আনন্দ উল্লাসের মূল্য নেই;
এগুলো গুনা- হারাম-অপবিত্র,পবিত্রিতা কেবল বোমা মেরে মানুষ মারনেই!
কুপমন্ডুক এ গোষ্ঠী ভেবেছিল তাদের এ হামলার পর,
বাঙালি ভয়ে পড়ে থাকবে ঘরের কোনে তাদের মতই-
কিন্তু না,পরের বৈশাখেই তারা দেখল, বাঙালির আজন্ম তৃপ্তি হৈ-হুল্লোর -মিলনেই।
মূর্খের কাজ বরাবরই বিষ্মিত করে জ্ঞানীদের,
লজ্জায় নত করে নাসিকা জগতের যত সভ্যের।
পরাজিত মূর্খের দল বাঙালি নারীকে গৃহবন্দী করতে-
এবার আশ্রয় নিল এক হীন,জঘন্য, ঘৃন্য হৃদয় বিদারক  দৃশ্যের!
বর্ষবরণকে আবারও করল কলঙ্কিত,
শ্লীলতা হানির কানামাছি খেলে কলঙ্কিত করল নিজেদের মা-বোনের!
মা,বোন,ভাগ্নি সম-আবাল,বৃদ্ধ,বনিতা, সকল নারীর সম্ভ্রম নিয়েই খেলল,
শ্লীলতা হানির এক কুশ্রী জয়ী হওয়ার খেলা!
আশা করি বাঙালি নারী না দমে গিয়ে,
পরের বছর পরাজিত কুপুরুষ দণ্ডে দণ্ডে করবে সকরুণ ব্লেডগালা।


২৬/০৪/২০১৫
১১:৩০pm
em
png