পৃথিবী আঙ্গুল তোলে আমার জীর্ণতায়!
এই ফ্যাকাসে চোখ কে উপেক্ষা করে স্খলিত সভ্যতা,
যে ছিল সীমাশূন্য লালসার সম্যক দ্রষ্টা।
তল্পি গুছিয়ে রাজপথ থেকে ঢুকে যায়-
অন্ধ গলির চোরা পথে,- লুকিয়ে ফেলি নিজেকে;
লজ্জায়-অপমানে-অবহেলায়!
নিঃশব্দ আমি, শব্দ খুঁজি পৃথিবীর কোলাহলে।
রক্তের নোনতা স্বাদে মাতাল এক সিংহের
পাকস্থলীতে আমৃত্যু ক্ষুধার কৃষ্ণ-গহ্বর;
আমিই একমাত্র শিকার, আমার সন্ত্রস্ত আর্তনাদ
আরশে-আযীমে রণিত হতে থাকে;
কিন্তু হায়!
রিক্ত কোষাগারে - বিধাতাও মুফলিস!


উত্তাল তরঙ্গে কাগজের নৌকা হয়ে ভাসে অস্তিত্ব, -
ঘন-ঘোর অমানিশায় – ফেরারী আসামীর মতো
কেবলি পালায়, কেবলি দূরে সরে যায় বাতিঘর!
মুক্ত হস্তে করা ঋষির যে দান তাতেই গড়ে তুলি
ছন বাঁধা কাঁচা মাটির পলকা ঘর, গড়ে তুলি-
ব্যক্তিত্বের ঝাপসা পাঁচিল, আর-
বৈধতা হারানো ভালোবাসার রঙহীন পুষ্প বাগিচা।
পাতাল-পুরীর পিঞ্জরে বন্দি হয় কল্পনা,
এখানে স্বপ্ন দেখা মানা, বাঁচতে চাওয়া বৃথা!


আমাকে ডাকি, বার বার ডাকি, ফিরে আসে - প্রতিধ্বনি।
এভাবেই বেঁচে থাকা, হয়তো, এভাবেই বেঁচে থাকতে হয়।



শব্দ ব্যাখ্যাঃ
মুফলিস > মিসকিন/অতিশয় গরীব