মাঝপথে যবনিকা; পথের আঞ্জাম,-
সে সওগাত করিনু সাদরে আদান।
যদিও বা দগ্ধ ভূম থাকে মুহ্যমান;
বক্ষ চিরে চলে দেখি তোমার তাঞ্জাম।
বিলাস-বিত্ত-বৈভবে রাখিনি প্রণাম;
পরাভূত সওদায়; - তব অভিমান!
বঁধু, বৈকালী অর্পণে, এই তব দান!
প্রভঞ্জ-করোটি-পরে লেখা মোর নাম।


তবু আসে বিভাবরী বাজিয়ে শিঞ্জন,-
অবরুদ্ধ চারিপাশ, পোক্ত-প্রহেলিকা,
তমসায় হেরি তারে মিহি-কুহেলিকা।
খঞ্জন-গঞ্জন-আঁখি, নেত্র-নীলাঞ্জন;
নাহি ঠায়! আমি সেথা ভ্রান্তি অঞ্জনিকা,-
বিরহ-কারাবা তব যাবক রঞ্জন।


( পেত্রার্কীয়, অক্ষরবৃত্ত, বর্ণ বিন্যাস: ৮+৬ )


শব্দ ব্যাখ্যা:
আদান > গ্রহণ করা
তাঞ্জাম > পালকি
বঁধু > প্রেয়সী
বৈকালী > দেবতার বৈকালিক ভোগ
প্রভঞ্জ > প্রবল বায়ু
শিঞ্জন > নূপুর ধ্বনি
খঞ্জন-গঞ্জন-আঁখি > অত্যন্ত সুন্দর ও চঞ্চল চোখ যা খঞ্জন পাখির চোখকেও লজ্জা দেয়
নীলাঞ্জন > মেঘের ঘন নীল অঞ্জনবত্ বর্ণ
অঞ্জনিকা > কাজল
কারাবা > রূপার পাত্র/কৌটা
যাবক > আলতা