এই রাতে শত ফুল বিছাবে, নব পরিণয় শয্যা,
গাহিবে নতুন ভ্রুণের শুভাগমনী গান,
কতক ঝরে যাবে অনাদরে, পিষ্ট হবে
পথিকের পায়, তারা পাইবেনা প্রতিদান।


আঙুলের ডগায় ভাগ্য ঘুরাতে ফিরে যাবে-
এক আজন্ম নির্ভীক জুয়াড়ী এই রাতে।
সে বাজি রেখেছে আজ প্রেয়সীর মালা,
পকেটে বিশ্বাস আর নব দিগন্ত হাতে।  


এই রাতে এক অর্ধ মাতাল ফিরিবে সুরার টেবিলে,
পিপাসিত ঠোঁটে ছোঁয়াবে সুরার জাম।
ভুলিবে সকল বিরহী কবিতা, ভাগ্যের পাশাখেলা,
ঢেলে যাও সাকি যতক্ষণ সে দিয়ে যায় পয়গাম।


এই রাতে এক নিশাচর আজ জাগিতে চলেছে নিশি,
উড়িয়ে দিয়ে সে তারায় তারায় স্মৃতির পাণ্ডুলিপি-
ঢেকে দেবে নীল জোছনা ঘোরাল অন্ধকারের সম,
মুছে দেবে সব ললাটের দাগ লিখবে নতুন লিপি।


এই রাতে এক পতিতা আপন প্রেমকে তুলিবে নিলামে-
মুছিতে কঠোর জীবনের দায় মেটাতে ক্ষুধার ভার। এই-
মানুষ দিয়াছে কুলটার দাগ, সমাজ করেনি ক্ষমা,
বিকিয়ে যাবে সে মানুষের মাঝে, মানুষই খরিদদার।


এই রাতে এক পাগল প্রেমিক খুদিবে প্রেমের গোর, যখন-
জরিয়ানা সাজে সাজবে প্রিয়া, সখিরা মাতিবে লাস্যে,
খুলে দেবে খাঁচা উড়ে যাবে পাখি বাঁধিবে আপন ঘর, তখন-
ব্যথার দেবতা ভ্রুকুটি নয়নে হাসিবে অট্টহাস্যে।


এমন করিয়া কত রাত আসে কত রাত চলে যায়,
কত মানুষের কত হাহাকার অন্ধকারে লুটায়।
ক্ষমে না ভাগ্য ধ্বংশযজ্ঞে একটি বারের তরে,
প্রতিটি মানুষ প্রতিটি যোদ্ধা যুদ্ধ শুধুই করে।


শব্দ ব্যাখ্যাঃ
জরিয়ানা - নব বধুর মুখমণ্ডলের সাজ