বয়সের বেড়ে ওঠা হাতের রেখাগুলোকে
করেছে আরো স্পষ্ট,
মাঝে মাঝে খুঁজি,
কোন্ রেখার কোথায় আদি কোথায় অন্ত।
সেই যে কবে এ হাত কেঁপেছিল,
সে ছিল এক অস্ফুট অনুভূতি।  
কে জানতো-
সরসীর শান্ত জলেও লুকিয়ে থাকে
পাড় ভাঙার ওজস্বিতা।
এ হাতেই লেপটে আছে তার কপোল মোছা অশ্রুর দাগ
অমোছনীয় কষের মতো।
মাঝে মাঝে সন্দিগ্ধ চোখে দেখি,
সে থাকে পিকাসোর শিল্পের মতো স্থির, নির্বিকার।
বিশ্বাস বাজি রেখেছিলাম জুয়ার টেবিলে,
আজ আমি নিঃস্ব।
কেউ শোনেনা-
প্রদীপের অন্তরে জ্বলতে থাকা শলতের আর্তনাদ।
তার লকলকে শিখা সব পুড়িয়ে দিতে লেজ নাড়তে থাকে
শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়ার পূর্বে পন্নগের মতো।
এ হাতেই ছিল তার সম্ভ্রম,
তার বিশ্বাস আমি রেখেছি, কিন্তু-
আমার বিশ্বাসের মূল্য তো নিঃসঙ্গতা নয়,
ভাগাভাগি নয়, বিচ্ছিন্নতা নয়।
এক খামখা দুপুরে এ হাতেই হাত রেখে বলেছিল-
“তুমি অনেক ভিতু”, হ্যাঁ, আমি ভিতু বৈকি,
সত্যকে অস্বীকার করবার দুঃসাহস আমি করতে পারিনা।
অনুমোদিত গোঁজামিল মিথ্যের জীবন আমি যাপন করিনা,
হ্যাঁ আর না এর মাঝে কিছু নেই।
আমার কাছে-
“না” আঁধার হইতে ঘুটঘুটে,
“হ্যাঁ” আলোর চেয়ে নির্দিষ্ট।
এ হাতেই এখনো টের পায়, নিশ্বাসের উত্তাপ,
বৃষ্টির জলের উত্তাপ, মাটির উত্তাপ।