কবি তোমার কলম নাকি সত্যি বলে!
কালশে চোখে একটুখানি ঘুম লিখে দাও!
একটি সু‌খের দাগ টেনে দাও - এই কপা‌লে।
ইচ্ছে করে জোরছে হেঁকে
নাও বেয়ে যায় উজান পানে!
শুকতারাকে লক্ষ্য করে-
হালটি ধরি নাড়ির টানে,
ছেঁড়া পালে স্বপন বুনে কোন্ মজা পাও!


সবাই বলে, আমি নাকি ছন্নছাড়া!
উচ্ছন্নে দিক ভুলিবার বড়োই তাড়া।
মায়ের চোখের জল মুছিনি;
পিতার ঘামের দাম রাখিনি,
চিলের ডানায় চোখ রেখেছি
ঘরের খোঁটায় পাও বাঁধিনি।
আমার যারা,-
কিসের যেন নেশার টানে ছুটছে তারা,
মন্দ-ভাল অংকটুকু, তাও কষিনি!


আমার ঘরেও জানলা গলে শব্দ আসে,
ব্যাকরণের নিয়ম ভাঙ্গা বাক্য হয়ে;-
কোথাও যেন তাল-বেতালের গান হতে চায়,
লুটিয়ে পড়ে,--
ভাষাহীনের কাব্য হয়ে চোখের কোণায়।


এখন আমার একলা সকাল,
একলা দুপুর, একলা বিকাল।
যখন দেখি চুপটি করে রাত্রি আসে;
ক্ষতের উপর আলতো করে জ্যোৎস্না মাখায়,
আবার ভাবি,--
কবির প্রিয় চাঁদটি যদি দোকলা হতো;-
জং ধরা সব একলাগুলো পালিয়ে যেতো
তেপান্তরের দূর সীমানায়।