যুদ্বরত সৈনিকের চোখে বুলেটে বিদ্ধ অজস্র স্বপ্ন,
শেষের আলোয় ঝলসে ওঠে নিথর দেহ
রাত পেরোলেই মুক্তি-
স্বপ্ন সত্যে আসেনা।
দিগন্তে চোখ রাখি, দৃষ্টিরও সীমানা আছে,
সূর্য চলে যায় দূরে, আরও দূরে, বহুদূরে…
এই সত্য বিস্ফোরণ হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক
সভ্যতার শেষ অসভ্যতায়-
যেখানে নগ্নতা থমকে দাঁড়িয়ে দেখবে
আমি তাহারেই ভালবেসেছিলাম।
তার ললাটে আবার রংধনুর আঁচড় এঁকেছে ভাস্কর,
নেচে ওঠে ভাগ্যবতী নব উন্মাদনা ; আমি দেখি না,
আমি পুরোনো প্রেমের স্বপ্নে বিভোর স্বপ্ন চুরি করে যায়।
আমার নাকে-মুখে বন্যার জল,
আসার আলোয় প্রজ্বলিত রক্তচোখে দেখি ডাঙার জীবন,
শক্তির শেষ বিন্দুকে নিংড়ে নিয়ে সাঁতরায়,
আমি কি বেঁচে আছি?
চাবি খোলা গ্রেনেড হাতে খেলেছি মৃত্যু খেলা,
বুলেটের খোসা উড়িয়ে করেছি জয়োল্লাস,
খঞ্জরের আঁচড়ে লিখেছি তাহার নাম,
ধুলো কাদা আর তপ্ত বালুতে লেপটে দিয়েছি অশ্রুজল,
জীবন হেরেছে কখনও আমি।
নিশি ভোর হয়নি, হয়না,
মুক্তিরা ফেরে না কখনো, সবই অকারণ,
অকারণ বেঁচে থাকা।