নামধন্য দুরন্ত কিশোর,
ডাঙ্গুলিতে স্কুল ফাঁকির আস্তরণ;
শাসনের স্নেহ-মমতাগুলো পিঠের উপর দুমাদুম ঝরে পড়া।
বাবার মুখে ভাঁড়ের বিজয় গাঁথা, হাসতে হাসতে
চোখের জলে লুটিয়ে পড়েছি কতবার!


মঙ্গলবার, চব্বিশ অক্টোবর, দু-হাজার ছয়;
আকাশ আমার পায়ে পা রেখে কান ধরে
পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা করে দিল।
মাঝে নিউটন, নীলস্ বোর, লুথার মেয়ার,
ঠাকুরের সাথে কথা কাটাকাটি, সক্রেটিসের সাথে
অনেক হাসা-হাসিও হলো;-
ট্রেন থেকে নেমে দেখি ভুল স্টেশন! প্লাটফর্মে;
মেহেদির লাল রঙ ছিটকে পড়লো আমার রুহের উপর!
টাইম কিপার ঘণ্টা বাজিয়ে বলে,
খুব হয়েছে! সময় শেষ, এখন বিরহ।
হাতে লেগে যাওয়া গলে পড়া আইসক্রিমের
চিপচিপে প্রেম;
আমার ঘামে ভেজা রুমালে মুছে দিলাম।
সাঁতার শিখেছিলাম ডুবে যাবার ভয়ে;
কাউকে বাঁচাতে হলে বোধহয় আরও একটু বেশি সাহস লাগে!


মুখ বুজে চুপচাপ অপেক্ষা করছি খুকুর নড়ে ওঠার, যাকে
কয়েক মিনিট আগে স্ট্যাচু-মুভ খেলায় স্ট্যাচু করা হয়েছে।
পাশের বাড়ির ছেলেটি বাবার চোখে চোখ রেখে বলছে,
[ওসবে কিচ্চু হবেনা! বাঁচতে হলে মারতে হবে।]
খুবই নবাগত সত্যি!
কাজের বিনিময়ে অর্থ; পুরনো কথা,
নতুন কথা হলো, অর্থের বিনিময়ে কাজ।


রোজ সকালে জানালার গরাদ গলিয়ে
সূর্যালোক হাজিরা খাতায় দস্তখত নিয়ে যায়।
জীবন আমায় সাহসী হতে বলে, আর
মৃত্যু- কপালে রিভলবার ঠেকিয়ে বলে,
He who will be scared will die. হা-হা-হা-হা,,,