তৃপ্তি নিয়ে তুষ্ট চোখে, দিগন্তের ওপার তাকিয়ে-
ক্ষণ-কাল দুখী ছোঁয়া; সেটাও সুখের অলংকার!
মুখ-খানা নেই নেই, - পেয়েও অধিক প্রার্থনার,-
কাটছ আঁচড় নিত্য; - নিথর জলে নখ ‍ডুবিয়ে।
কাঁচের দেয়াল শীর্ণ, যেতেই পারো!- সব মাড়িয়ে,
প্রেমতো হাটের পণ্য; তুমিই একলা খরিদ্দার-
“নেই প্রেম, তবু নেই!” বলছো সদাই বারংবার,
এপার-ওপার স্বচ্ছ, স্বপ্ন অবাধ - যাও বুনিয়ে!


স্বর্গ-নরক তফাৎ, তবুও পাশে; - তুমিই আছো,
আলোটা নিভিয়ে রেখে করছো নিশীথের যাপন,
পায়ে পেষা যত ক্ষুদ্র; তা ফুরসতে ফিরে দেখছ।
আমি নই এতো বোকা! সে তো- অতিরেক আভরণ!
একঘেয়ে সুখে থাকা! সেথায় অল্প দুঃখ ঢালছ,
তবেই সুখটা ভোগ্য, শুদ্ধ সোনায় খাদ যেমন।



শব্দ ব্যাখ্যা:
অতিরেক > বাড়তি


(পেত্রার্কীয় সনেট, অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, পর্ব বিন্যাস ৮+১০)