হে অবুঝ ছেলে,
তুমি কিনা এখনো পড়ে রয়েছ সেইখানে!
আমি হেঁটে গেছি সেই বাঁশ বাগানের গলি রাস্তা ধরে সমুখে, শুধুই সমুখে…
সেই একঘেয়ে চাঁদ কি এখনো বাঁশ বাগানের মাথায় ওঠে?
রোজ লোডশেডিংয়ে মশার কামড়,
সারারাত ঝি ঝি পোকার ঘ্যানঘ্যানানি,
রাস্তার বিচ্ছিরি সব ধুলো আর কাদা,
সেসব, এখনো আছে?
তুমি এখনো ওখানেই পড়ে রইলে।
এখানে রং বেরঙের আলোয় সারা শহর নেচে ওঠে।
রাস্তা দেখে বোঝায় যাই না, কোনটা বর্ষা কোনটা বসন্ত।
এতো লোকের ভিড়ে দিব্যি নিজেকে লুকানো যায়।
অফিসের ব্যস্ততায় শ্বাস নেবার সময়ই থাকেনা।
মেয়েটা যে হাঁটতেও শিখেছে, তা দেখায় হয়নি-
তাই ভাবলাম আজকের ডিউটিটা কাউকে দিয়ে সোয়াপ করে নিই।
আর তোমাকে? মনেই পড়ে না।
আজ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে, আলো নেই,
কেমন যেন রাতের পুরনো গন্ধে ভরে আছে চারপাশ।
অঝর বৃষ্টিতে রাস্তার পিচ ঢেকে হাঁটুজল।
তাই বুঝি তোমার কথা মনে পড়ে গেল,
তুমি কি আসলেই ভালো আছো?