এক যে নুরুদ্দিন
বয়সটা তার কাঁচা পাকা
শরীরটা বেজে ক্ষীণ ,
কর্মযজ্ঞ নস্যি চিন্তা
অলসতায় কাটে দিন ।
তবুও চলে রাজার হালে
ধন খানিক ছিল এক কালে
লোক মুখে শোনা , নুরুদ্দিনের বাবা
ছিলেন জমিদারের ছেলে ।
তারি রসদ চেটে পুটে
মহারথের মজনু সেজে
দিনগুলো তার কাটছে আজো
ফুর্তিতে আর তেজে ।
নুরুদ্দিনের ছোট্ট মেয়ে
একখানিই তার বউ
কাজের কথা সেই বলে
আর বলে না কেউ ।
নুরুদ্দিনের অনেক দেমাগ
থাকতে এত ধন
কাজ করবে কোন পাগল
নুরুদ্দিনের পন ।
মেয়ের নামটি নিবেদিতা
বছর পাঁচেক বয়স
কথায় কাজে দুরন্ত আর
অনেক বেশি সাহস ।
দুষ্টুমিতে সবার সেরা
এইটুকুনি মেয়ে
নুরুদ্দিন ভালোবাসে
তাকেই সবার চেয়ে ।
স্বপ্ন পাগল নুরুদ্দিন
স্বপ্নে থাকে বিভোর
স্বপ্নের সপান শেষ হলেও
তার কাটে না ঘোর ।
স্বপ্ন দেখে জমিদারের
চেয়ার খানায় বসে
করছে সে রাজ্য শাসন
আরাম আয়েশ চষে ।
নুরুদ্দিনের বন্ধু অনেক
ছেলে বুড়ো যত
তারি সাথে লেগে থাকে
পাইক পেয়াদার মত ।
বন্ধুদের অভাব যত
নুরুদ্দিনের ঘারে
রোগ বালায়ে ডাক্তার, পথ্য
নুরুদ্দিনের দ্বারে ।
ছোট্ট মেয়ে নিবেদিতার
কঠিন রোগে পেল
ধিরে ধিরে তার ধন ফুরাল
বন্ধুরা সব মুখ ঘুরাল ।
মেয়ের অসুখ অনেক বেশি
টাকার অঙ্কও নয় তুচ্ছ তেসি
কোথায় পাবে এত টাকা
বন্ধুরা সব ময়ূর বেশী ।
হাজার কষ্ট বুকে দিয়ে
বিদায় নিল মেয়ে
নুরুদ্দিনের শোক গড়াল
দু চোখ বেয়ে বেয়ে ।