কলকাতা এসেছিলেন, ইটালীয় এডওয়ার্ড টিরেত্তার,
তার নামে আছে আজো চায়না টাউন/টেরিটিবাজার,
রসিক বাঙালির রান্নাঘরে সকলের অবারিত দ্বার !
ফরাসী,ইংরেজ,মোগলাই খানা বানায় যে আকছার।
চীনা পর্যটক হিউয়েনসাঙ বিশ্বকে চেনান বাঙলার__
নদ নদী, আমগাছ, মানুষ জন ও কিছু খাবার দাবার।
মাঝারি আকারের এক আম, যেন বাংলার পাঁচ,
"সূর্যাপুরী" নাম ছিল তার, পাওয়া যায় না আজ।
ছবিতে খুঁজে পেলেও, ভরেনা আর তাতে মন,
লাল রঙটা দেখি ফিকে হয়ে, হলুদ হয়েছে কেমন।
বিহারের পূর্নিয়া, কিষানগন্জ, বাংলাদেশের পঞ্চগড়,
ঠাকুরগাঁও, তেঁতুলিয়া ও কিছু জায়গায় নেপালের,
আম আদরের ফসল ইসলামপুরের(প.ব) সূর্যাপুরের।
একসময়ে বাংলার সুবেদার ইসলাম খান,
নিজে যেমন সূর্যাপূরী আম পছন্দ করতেন !
তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরকেও এই আম ভেট পাঠাতেন।
হাত এঁটো না করে খেতে চিনেম্যানরা ভালোবাসেন,
"কটি কানা" করে আম খেতে হলে গাছপাকা আম,
হাতে নিয়ে, সূর্যাপূরী মানুষেরা নাড়াচাড়া করতেন।
কিছু সময় পরেই আঁশ বিহীন সূর্যাপূরী আম,
ভেতরে ভেতরে গলে গিয়ে যেন একদম জল,
পি পি করে তখন খাওয়া চলে সেই মিষ্টি তরল।
জাপানের মিয়াজাকির "তাইয়ো নো তামাগো" !
এই কথাটার বাংলা মানে নাকি"সূর্যের ডিম", মা গো !
মনে হয় দেখে যেন সিন্দুরী আম এরই আরেক রূপ,
মাটিতে পড়া চলবেনা, নেটে এসে পড়ে টুপ টুপ।
"আমটি আমি খাবো পেড়ে" একদম নয়,
এ সব আম পেকে গেলে, তবে খেতে হয়।
ভারতীয়রা খাবার জিনিস মিলে মিশে খেতে চায়,
গরুর গাড়ি করে হাটে নিয়ে সূর্যাপূরী আম বিলায়।
শুধু যে দেখতে লাল আর সুন্দর তার মোটেও নয়,
খাবার পরেও এর স্বাদ, গন্ধ মুখে ও মনে লেগে রয়।