অরন্যের যত মহীরুহ কেটে, চিরে, লগ বানিয়ে আসবাব তৈরি প্রয়োজন।
কাঠের গুঁড়োও যায়না ফেলা, প্লাইউড বানিয়ে, জানালা-দরজা, টেবিলে, ভরায় মন ।
কাঠের চেয়ার, খাটের কদর এখন কমেছে,
প্লাস্টিক, লোহা, নানা ধাতু সে জায়গা নিয়েছে।
গাছ থেকেই কয়লা, আর তা দিয়েই বিদ্যুৎ,
ইলেকট্রিক চুল্লি, কাঠের চিতা, কফিন, মৃত্যুর দূত।
আজীবন গাছ মানুষের জীবনের সাথী,
গাছের মৃত্যুতে আমরা হতে পারি সমব্যাথী ?
মালতী দিদিকে দেখেছি, ছাই দিয়ে দাঁত মাজতে,
ইচ্ছে হলে না বুঝেই মাঝে মধ্যে কাঠকয়লা খেতে ।
আজ জানি, কাঠকয়লা ভালো এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ক্যাপসুল রূপে কাঠকয়লার বেড়ে গেছে রেট।
চারকোল সমৃদ্ধ ক্রীম চাই ত্বকের যত্নে,
কত কথাই যে একে একে উঠে আসে মনে।
ব্রনো হলে, ও ত্বক পরিষ্কার রাখতে ,
বন্ধুত্ব করা চাই এ্যাক্টিভেটেড চারকোলের সনে।
আদিম যুগে গুহার দেওয়ালে, যারা ছবি এঁকেছেন,
কাঠকয়লা দিয়ে পেন্সিল তৈরির বুদ্ধিটা দিয়েছেন !
ধুনুচি জ্বালাতে এই কাঠকয়লার নেই কোনো জুড়ি,
চারকোল এ তৈরি কোনো আধুনিক মেয়ের ছবি___ মনে হয়, আহা ! দেখতে মেয়েটি বেশ সুন্দরী।
আর্টিস্টের হাতখানি বেশ পাকা, কি সৃষ্টি, মরি মরি !
গাছেরা জোগায় বাঁচার রসদ অম্লজান,
মানুষ আমরা, রাখি কি তাদের মান ?
চন্দন মরে গিয়েও সুগন্ধ ছড়ায়, বাড়ায় শান ।
এই যে রাজস্থানের ঊষর মাটি একটু সরস হয়েছে,
তার পেছনেও আছে গাছ লাগানোর অবদান।
মেধা পাটেকরের "চিপকো আন্দোলন" মনে পড়ছে,
কেউ কেউ সত্যিই গাছকে ভালোবেসেছে।