প্রায় ক্ষেত্রেই সবুজ ঘাসকে আগাছা মনে করা হয়,
ওদের উৎপাটিত করার চেষ্টা করা হয় তাই সদাই।
গোড়ায় মধু দেবার বুদ্ধি দেন, কৌটিল্য চানক্য মশাই,
ফসল ফলাতে গেলে আগাছা দূর করা চাই অবশ্যই ।
শত্রুর শেষ রাখতে নেই, মোদ্দা কথা হলো এটাই,
তাই আমন্ত্রণ জানানো হয়, পিঁপড়েদের মধু খাবার ।
ঘাসের শেকড় পর্যন্ত খেয়ে ওরা করবেই সাবাড়।
কিন্তু যখন মানুষের মনে মধু খাবার নেশা জমে যায়,
মানুষের ওপর তখন নির্মম মানুষ অত্যাচার চালায়।
জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের নামে ইংরেজরা কর বসায়,
কিছু মানুষ ঈষ্ট ঈন্ডিয়া কোম্পানীর রসদ জোগায়।
তারা ভাবেনা, নিজের দেশের লোক কি খেতে পায়!
সন্নাসী ও ফকীরদের কেউ ভালোবেসে কিছু দিলে,
ইংরেজদের সে সব কান্ড দেখে হিংসেয় গা জ্বলে।
ওদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোথাও বিদ্রোহ হলে,
ওরা বিদ্রোহীদের ডাকাত, লুটেরা, চুয়ার বলে।
কি করে চলে মজনু শাহ আর ভবানী পাঠক থাকলে,
হিন্দু-মুসলমান একত্র মিলে ফকীর বিদ্রোহ করলে ?
যেমন করেই হোক তাই অবিলম্বে ধ্বংস করা হতো,
তা না হলে কি লর্ড কার্জন বঙ্গ ভঙ্গ করতে চাইতো !
সবুজ ঘাসের মতো কোনো তাজা প্রাণ অঙ্কুরিত হলে,
সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে থাকা এক একজনকে,
বেছে মারা খুব কঠিন,তাই মরতো লোকে দলে দলে।
রক্তে ভিজেছে কত মাঠ ঘাট, সাক্ষী ছিলো অনেকেই,
সবুজ লাল হতে পারে, আবার লাল হতে পারে সবুজ,
বিপ্লব থামবেনা কক্ষনও, আর বৃষ্টি আসবে নিশ্চয়ই।
মধু ঢেলে সব সবুজ ঘাস ধ্বংস করা যাবেনা কিছুতে,
যত ঘাস, ততো মধু আর পিঁপড়ে নেই এই পৃথিবীতে।