শুনেছি মানুষ মারা গেলে, তারপর নাকি তারা হয়,
পড়ে, জেনে কিছু মানুষকে তো তারাই মনে হয়।
পৃথিবীর মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভালো করেই,
"সন্ন্যাসী" কথাটার মানে যে, মোটেই ভিখারী নয়।
তেমন সন্ন্যাসীর চোখে মুখে জ্যোতি দেখা যায়,
বোধ হয় তাঁদের আচরণেও তা প্রকাশ পায়।
জাত পাত নিয়ে কৌতুহল মেটাতে সেই ছোট্টো বিলে,
রাগী বাবার হুঁকো, চেখে দেখেছেন ছোটোবেলায়,
মন শান্ত হতো শিব শিব বলে জল ঢাললে মাথায়।
রান্না নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যান,
তাই তো নিজে না খেলেও রেঁধে অন্যকে খাওয়ান।
তাদের ভালো লাগলে, অন্যদের মুখে তৃপ্তি দেখলে,
খেয়ে অন্যে খুশি হলে, নিজে অন্তরে শান্তি পান।
আমের আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখা কত খেয়েছি,
কিন্তু স্বামীজি ভালোবাসেন সেই আম- তেল !
এ কথা জেনে, ঐ তেল দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছি।
গরম ভাতে ঘী, সকলেই জানে, ভালো তো বটেই,
গরম ভাতে আম-তেলটাও, মন্দ নয় কিন্তু মোটেই !
নরেন্দ্রনাথ দত্ত যে কাঁচালঙ্কা খেতেও ছিলেন‌ দড়,
পেতাম ভয়, তবে কাঁচালঙ্কা কি আমার চেয়ে বড় !
জীবনে মরে বেঁচে থাকা নয়, বাঁচার মতো বাঁচতে হয়।