তোমার কৃপা দৃষ্টি পেলে আমি জিতে যেতে পারি,
তুমি আশীর্বাদ করলে আমি একাই রাবণ মারি।
আমি তো বুনো ফুলেই তোমার পূজো মন দিয়ে করি,
একবার তুমি তাকালেই আমি তো কৃতার্থ বোধ করি।
কিন্তু তুমি তো রাবণকে আশ্রয় দিয়ে বসে আছো,
আমার পত্নী সীতার কথা কি একটুও ভেবেছো ?
জানি, অসময়ে তোমার বোধন আমি করেছি,
বাধ্য হয়েই অকালে পূজো করে বিরক্ত করেছি।
রাজা সুরথের মতো নিজে হাতে মাটির ঠাকুর গড়েছি
পূজোর জন্যে, ঠিক একটা বেলতলা খুঁজে নিয়েছি।
নিষ্ঠা আমার তোমার রাবনের চেয়ে এতটুকু কম নয়,
তুমি দৃষ্টি দিলেই, জানি, আমার জয় হবে নিশ্চয়।
বিভীষণের কথায় নীল পদ্মের খোঁজ শুরু করি,
শুধু মাত্র দেবীদহতেই নীল পদ্ম ফোঁটে, শ্রবণ করি।
হনুমান দায়িত্ব নিয়ে নীলপদ্ম আনে একশো আটটি,
তুমি নিজেই শেষে লুকোতে পারলে তার একটি ?
রাবণের কথা ভেবে তুমি আমার সাথেই ছল করলে ?
বলো দেবী,কি করে তুমি এমন কাজ করতে পারলে !
আমার চোখ নাকি নীল পদ্মফুলের মতোই নীল,
কথাটা শুনেছি ছোটো থেকেই,পেয়েছি নিজেও মিল।
মনে পড়ে যায় কথাটা, একদম ঠিকঠাক সময়,
একটি ফুলের অভাব মেটাতে, নিজের চোখ দেবই।
পূজোয় অর্ঘ্য দিতে,একটি চোখ উপড়াতে উদ্যত হই।
এবারে আমার ভক্তির আন্দাজ তুমি খানিকটা পেলে,
কথাটা বুঝলে, ভক্ত আমি নই একেবারে এলে বেলে।
রাবণের কথা ভুলে এবার আমার দিকে তাকালে,
রাবণকে মারার অনুমতি টুকু অবশেষে তুমি দিলে ।