প্রকৃতিতে ছোটো,বড়,মাঝারি নানানরকম আকারের,
এখানে আছে নাকি গবলিন অথবা যত ভ্যাম্পায়ার !
কি জানি এসব প্রাণী এই পৃথিবীর থাকে যে কোথায়,
সমুদ্রের ঐ নোনা জলে, নাকি এই খোলা হাওয়ায় ?
আমি তো দেখেছি শুধু সিনেমায় ও বইয়ের পাতায়।
সত্যি সত্যি এসব প্রানী না দেখাই ভালো জীবনে,
হয়তো প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে ডেকে নেবে মরণে ।
গয়না গাঁটি পড়লেও আর শান্তিতে থাকা যাবেনা,
লোভী গবলিন হাতিয়ে নেবে, কোনো কথা শুনবেনা।
আর ভ্যাম্পায়ার রক্তের লোভী, একথা সকলে জানে,
রক্ত শুষে বাঁচিয়ে রাখবে, মারবেনা একেবারে প্রাণে।
রূপ পাল্টে মানুষ সেজে বিয়ে করলেও খুব মুশকিল !
কে জানে কখন যে ফাঁকতালে খেয়ে নেবে দিল্ ।
"দিল দে চুকে সনম" গানটা তো গায় শুনি অনেকে,
সত্যিকারের দিল্ কি আর দেয় নাকি কেউ কাউকে ?
কাঁচা খেকো ভ্যাম্পেয়ারকে একটুও বিশ্বাস নয়,
আদর করার নামে কখন কি খেয়ে ফেলে, বড্ড ভয় !
গিরগিটির রঙের বদল আর চেহারা দেখে চেনা যায়,
কিন্তু মানুষ-বেশী ভ্যাম্পায়ার চেনার কি যে উপায় !
বেটে মতন দেখতে হলে না হয় গবলিন হতে পারে,
নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে, কখন কি হয়,
এরা কি আর কোনোরকম ভদ্রতার ধার ধারে !
এখন তো সোস্যাল মিডিয়ায় মানুষ ভাব জমায়,
মেট্রিমনি ডট কম রমরমিয়ে চলছে মানুষেরই দয়ায়।
মানুষটির রূপ বা আচরণ পরে পাল্টে যাবে কি না,
সে কথা তো আর আগে থেকে বোঝা যায় না !
সুতারাং হুট করে "উঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে" একদম নয়,
দেখে, শুনে, সময় নিয়ে, চিন্তা ভাবনা করে,
তবেই এসব ব্যাপারে এগোনো ভালো মনে হয়।
বর-কনে পক্ষ নিমন্ত্রণ রক্ষা করে দায় সারে সকলেই,
সারাজীবন একসাথে কাটাতে হয় সেই বরকনেকেই।