মাঝে মাঝে উইকিপিডিয়ার লেখা পড়ে অবাক হই,
কন্টিকারীর ফল খাদ্য নয়, ওইগুলো নাকি বিষময় !
হতে পারে বটে, তবে তা মানুষের জন্যে নয় মোটেই।
হয়তো কিছু রোগজীবাণু মারতে পারে, তাই মনে হয়!
আগে বছরে দুই একদিন কাঁটা বাঁচিয়ে তুলে এনেছি,
ভেজে দিলে ছোট্ট ছোট্ট তিতবেগুন খেয়ে নিয়েছি।
বিষ-তিতা কাকে বলে, তা বেশ ভালো করে বুঝেছি !
নিম পাতা ভাজা পাঁপড়ের মতো, শুধু একটু তেতো,
থালার আড়ালে লুকিয়েছে কেউ‌ আমার মতো !
কিন্তু যেদিন থেকে পেয়েছি চিবোনোর শব্দ মুচমুচে,
হোক‌ না তেতো স্বাদ, পাল্টেছি আমার খোল নলচে ।
তিতবেগুনকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি !
বাবলার আঠা,‌ কন্টিকারির আঠা খাদ্য তা জেনেছি।
এরা নাকি বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে শরীরে,
কন্টিকারির আঠা চামড়া তরুণ রাখে, ওজন কমায়,
এর শরবৎ উপাদেয়, মানুষের শরীর শীতল করে।
বাবলার আঠা যে ব্যাথা কমায়, শুধুমাত্র তাই নয় !
সুগার-কোলেষ্টেরলে,শীতে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ভাবার কথা, বাবলা, কন্টিকারী গাছে এতো কাঁটা,
কাছে যাওয়ার বদলে মানুষ উল্টো দিকে দেয় হাঁটা।
সকলেই জানে, বাবুল এর উপকারিতার শেষ নেই,
বাবুল টুথপেস্টের কথা জানি আমরা অনেকেই !
মানুষের উপকারে লাগবে বলেই কাঁটার সাজ ধরে ?
কন্টিকারীর পাতাগুলোও তাই কাঁটার মুকুট পরে ?
বড়দিনে কেকের সাথে, যীশুখ্রীষ্টের ত্যাগ মনে পড়ে।