আজকালকার কেটলির নাকটা প্রায় ল্যাপা পোঁছা,
ইলেকট্রিক কেটলি যেন, সাধারণ কেটলির ছা।
প্রশ্ন করেছিলাম, "আচ্ছা,তুমি কেন খাও এতো চা ?"
মুচকি হেসে চটজলদি উত্তর, "তোমার মুখ দেখলেই, আমার যে কেটলি আর ক্যামেলিয়া মনে পড়ে যায়" !
আহা! মধু মধু, মুখে যেন মানুষটার মধু ঝরে !
হাসবো না কাঁদবো, চা করতে ঢুকে যাই রান্নাঘরে ।
এই লোকের সাথে কি করে কেউ কথায় পারে !
পরে ভেবে দেখেছি,কথাটা উনি নেহাৎ মন্দ বলেননি!
চায়ের আড্ডায় হামেশা প্রশ্ন করতে কখনো ছাড়িনি ।
সারাক্ষন হাবিজাবি কত কিছুই তো মাথায় আসে !
প্রশ্ন করে চলি কাজের মাঝের চায়ের আসরে বসে।
এই যে সি.এফ.এল. লাইট, এর মানে কি ?
টিউব লাইটের চেয়ে কারেন্ট খরচ কম, সত্যিই ?হ্যালোজেন লাইটে হ্যালোজন গ্যাস থাকে কি?
আচ্ছা আগেকার দিনের হ্যাজাকের লন্ঠন আর ___
পেট্রোম্যাক্সের বাতি কি একই জিনিস নাকি ?
যদি তা না হয়, তাহলে বলোতো, এদের তফাৎ কি ?
আরেকটা ব্যাপার একটু বুঝিয়ে দাওতো _____
হ্যাজাকের ম্যান্টেল জ্বালানোর পর তা ফুলে ওঠে,
সাদা হয়ে কি করে অত বেশিক্ষণ জ্বলে ছাই?
প্রশ্নের চক্করে, বেচারার চা যায় জুড়িয়ে হামেশাই !
কেটলির নাকের মতোই প্রশ্নচিন্হ রাখি ঝুলিয়ে।
উনি ভাবেন, কত বার চা করাবেন‌ আমাকে দিয়ে ?
অতিরিক্ত বেশি, বার বার চা করতে তো চাই না।
কিন্তু তাইবলে প্রশ্নের ফিরিস্তি যে কমেছে, তা না!
খুব বেশি প্রশ্ন করলে কথাটা দেন মনে করিয়ে,
"জানতে হলে মোবাইলে সার্চ করে নাও" এবারে তাই,
আগেকার সেই কম্বাইন্ড ফ্লুরোসেন্ট লাইটের মতোই ,
এল.ই.ডি র মানে জানতে চেয়েছি গুগলের কাছেই।
উত্তর পেয়ে গেছি নীরবে ও অনেকটা মনের মতোই!
কোনো নির্দিষ্ট উপাদানের মধ্যে দিয়ে চলার সময়, লাইট এমীটিং ডায়োড নানা রঙের আলো ছড়ায় ।
তাই নাকি একে আলোক নিঃসারী ডায়োড বলা হয়।