সাপ, খরগোশ, ড্রাগন, বাঘ, ষাঁড় কিংবা ইঁদুর
ঘোড়া, ছাগল, শুয়োর, বানর, মোরগ অথবা কুকুর।
সকলেরই জীবনেই প্রেম যেমন আসে হুট করে,
বছর শেষ হবার আগেই আবার যায় তেমনই ছেড়ে!
কিন্তু তোমরা বলো, মানুষ ছাড়া কে আর এমন করে,
ব্রেকআপ হয়েছে বলে,কেঁদে কেটে কবিতা গল্প পড়ে,
লাইনের পর লাইন লিখে, লিখে খাতার পাতা ভরে !
ভালোবাসা, প্রেমে পড়া, বিরহ, বেদনার যতো ছড়া,
সাহিত্যের বাজারে দেখি জাগায় ভালোই সাড়া।
কবি কবি ভাব, হেলে দুলে নেকু পুষু ভাবে পথ চলা,
মরন! এসব আবার কোন ঢং! এ কেমন কথা বলা !
"দেখো না একটু,আমার লেখাগুলো কেমন হয়েছে" !
ওরে বাবা ! এসব দেখে মন বলে পালাই, পালাই !
"ভাবখানা এমন,দাগা পেয়েছি ! তাই কবিতা লিখি,
আমার দু একটা কবিতা পড়ে বলবে কেমন লিখেছি,
এ আর তোমার পক্ষে এমন কি কঠিন কথা ভাই !"
আহা হা হা ! এমন আদিখ্যেতা ! একেবারে মরে যাই !
যেন কবিতা লিখতে গেলে প্রেমে পড়া অবশ্য কর্তব্য,
তার চেয়েও বেশী জরুরী প্রেমের জ্বালা সহ্য করা !
এসব তো জানা কথা সবার, একদম নস্য, নয় ধর্তব্য।
প্রেম আর ব্রেক আপ ছাড়া কি আর কবিতা হয় না !
নবারুণ ভট্টাচার্য, শুধু প্রবন্ধ, ব্যঙ্গ, আর উপন্যাসের ফ্যাতারুদের নিয়েই যে ব্যস্ত ছিলেন তা কিন্তু নয় !
সমস্ত অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতেই ছিলেন তিনি বাঙ্ময় ।
যুদ্ধ যুদ্ধ আর যুদ্ধ ভেবে ভেবে, আর যুদ্ধ নয়,যুদ্ধ নয়,
চিৎকার করে রাতের কোকিলের গলা যে বসে যায় ।
তাঁর মতোই,"এ মৃত্যু উপত্যকা"আমারও পৃথিবী নয় !
দৃষ্টি স্বচ্ছ থাকলে, প্রেম বা ভালোবাসা তো পাপ নয়,
প্রেম মানে যদি, কোনও মানুষকে ভালোবাসা হয়,
ব্রেক আপ তাহলে বোধহয়,ঘৃণা ছাড়া আর কিছু নয়।
হয়তো দুঃখ শোক পায়,কিন্তু ব্রেক আপ কখনও নয়,
সত্যিকারের প্রেমে কি পড়ে ফুল বা বোকা হাবারাই !