কৃষ্ণচূড়া ফুল আমি দেখেছি ছোটোবেলাতেই,
কিন্তু রেইন ট্রি ফুলের মতোই পাইনি নাগাল !
দেখে মনে মনে খুব লোভ হতো ছুঁতে,
কিন্তু খুশি হইনি কেউ ডাল ভেঙে ফুল এনে দিলে ।
গাছের ফুল যে গাছেই সুন্দর দেখতে !
অথচ একগাল হাসি ফুটে উঠতো অবশ্যই,
কেউ রেইনট্রির দুই একটি ফুল হাতে ধরালে।


বাবার শেভিং করাটা দেখতাম খুব ভালো করে,
নিজেরই ঠোঁট মুখ কিভাবে বাঁকায় আয়নায়।
গম্ভীর মুখটা কি করে নানারকম আকার নেয় !
সাবান লাগানোর আগে শেভিং ব্রাশটা___
একটুখানি সময়ের জন্যে আমার গালে ছোঁয়ালে,
নিমেষেই হেসে উঠতাম আমি, বেশ দুলে দুলে !
রেইনট্রি ফুল নিজের গালে ছোঁয়াই সবার আড়ালে ।


মায়ের লাগানো গাঁদা, সাদা চন্দ্রমল্লিকা ও বেলিফুল,
কিংবা অশোকের সাথী সেই ঝোপালো কামিনি , বাগান আলোর সাথে সাথেই করতো গন্ধে আকুল।
ফুলের প্রতি ভালোবাসা হয় এভাবে নিজে থেকেই,
গোলাপ‌, চাঁপা, বকুল আর রজনীগন্ধার সাথে ___
কবে যে কোথায় হয়েছিলো আমার প্রথম পরিচয় !
আজ আর সে সব কথা ঠিকঠাক একদম মনে নেই ।