মন শান্ত রাখতে না পারলে,
কিস্তিমাত তো অনেক দূরের ব্যাপার,
দাবা খেলতে আসাই উচিত নয়।
তাও যদি কেউ জবরদস্তি খেলতে আসে,
তাকে নাকানি চোবানি খেতেই হয়।
যদিও এই খেলাটা যেন যুদ্ধের ময়দান অনেকটাই,
খেলায় মাথা ঠাণ্ডা রাখা, মনে হয় খুব জরুরী বলেই।


ঘুটি ছোঁয়ার আগেই কোন ঘুঁটি চালতে হবে,
তা খুব ভালো করে চিন্তা করে নিতে হয়।
রাজার ক্ষমতা অতি সীমিত বলে,
সবাই মিলে রাজাকে খুব যত্নে আগলে রাখতে হয়।
দেখতে আকার ভিন্ন ভিন্ন হলেও ___
কারোর ক্ষমতা এখানে কম নয়।
সামান্য সৈনিকদেরও পরিস্থিতির কারণে কখনও, এখানে মন্ত্রী হতেও কোনো বাধা নেই।
হাতি, ঘোড়া, নৌকাও হতে পারে প্রয়োজন পড়লে, অসীম ক্ষমতার অধিকারী মন্ত্রী হতে কে না চায় ! সোজা অথবা কোনাকুনি যতদূর ফাঁকা পাওয়া যায়, মন্ত্রীর কোনো দিকেই যেতে তো কোনো বাধা নেই।


ঘোড়ার টপকে লাফিয়ে চলার স্বভাব সদাই,
এই আড়াই ঘরের চাল বেশ কাজেও লেগে যায় !
হয়তো বাংলায় এই খেলার নাম চতুরঙ্গ ছিল তাই।
পলাশীর যুদ্ধে জেতার পর বাঙালীর এই খেলাটা, ইংরেজদের ভারি পছন্দ হয়ে গিয়েছিল,
নিয়মকানুন একটু অদল বদল করে,
বিশ্ববাসীর কাছে নতুন নামে খেলাটা পরিচিত হলো। ফ্রান্সে, ঈংল্যান্ডে, মানুষের মন জয় করে নিলো।


বাঙালীর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিনে দিনে কি কোনঠাসা হলো? নাকি জগৎ শুদ্ধ মানুষকে এমন আইডিয়া দিয়ে, এভাবেই খেলার জগতে কিস্তিমাত করলো !