জার্মান ভাষাটা তাহলে তুমি এইজন্যেই শিখেছিলে ! অবশ্য ভিক্টোরিয়ায় বাগান ও লেকের ধারে,
বেড়াতে বেড়াতে ভিয়েনার গল্প একসময় করতে !
তোমার মুখে গল্প শুনে শুনে আমি তখন___ হলস্ট্যাটে অর্কিডে সাজানো বাড়ি পেতাম দেখতে।


বাড়িটার ছবি আঁকতে শুরু করতাম মনে মনে।
তবে এসব নিয়ে কখনো,কোনো কথা হয়নি দুজনে।
কিন্তু স্বপ্ন যে স্বপ্নই হয়, সেই কথাটা___
আমি তো জানতাম খুব ভালো ভাবেই।
বাস্তবের মাটিতে পা দিয়েই চলেছি তাই সবসময়।


তোমাকে যে মনে মনে ভালোবেসেছি,
তা তোমাকে বুঝতে দিইনি ঘুণাক্ষরেও ।  
দুজনেই তো  তখন আমরা স্টুডেন্ট, বলো !
আমার স্বপ্নের জন্যে, আমি তো কিছুতেই___
স্বার্থপর হয়ে, তোমার স্বপ্ন নষ্ট হতে দিতে পারিনা।


বাড়ির সবার পছন্দ করা পাত্রের গলায়,
লক্ষ্মী মেয়ের মতো মালা দিয়েছি তাই ।
কে বলে, বিয়ের পর ভালোবাসা হয় না ?
খুব হয়, আমি তো লক্ষ্মী মেয়ে আসলেই।
নারায়ণের মতো বর তো পেয়েছি তাই!


তবুও সব মেয়েরা কেন যে শিবের মতো বর চায় !  পাগলকে মেয়েরা বেশি ভালোবাসে?
নাকি তার পাগলের মতো ভালোবাসাকে !
কে জানে বাপু ! তবে আমি ভালো আছি আসলেই,
জানি কথাটা শুনলে ভালো লাগবে, বললাম তাই।


আচ্ছা, আমি যে অন্য কাউকে বিয়ে করছি,
তা জেনে তুমি কি খুব অবাক হয়েছিলে ?
দুঃখিত হয়েছিলে ? পেয়েছিলে কি খুব বড় আঘাত ? তাই কি বছর পাঁচেক পরে যখন প্রতিষ্ঠিত হলে, নিজের বিয়ের কথাটা আমার কাছে চেপে গেলে !


কিন্তু জানালেও কোনো ক্ষতি হতোনা,বিশ্বাস করো !
অন্ততঃ শুভকামনা তো জানাতে পারতাম !
ভাবছো এই মেয়েটার কি এমন ক্ষমতা আছে!
কি এমন দাম তার ভালোবাসা আর শুভ কামনার !
গর্ব করছিনা, কিন্তু আমি জানি যে, দাম আছে।


ভগবানের সাথেও ঝগড়া করতে পারি আমি,
কখনও যদি মনে করি যে তার দরকার আছে !
তোমার জন্যে, সে তুমি আমাকে_____
ভাবো না কেন আমাকে তুমি যত ঝগরুটেই!
নিজের জীবনের বাজিও রাখতে পারি, সহজেই।


ভেবোনা যে আমি আমার বরকে কম ভালোবাসি!
তা নয়, আসলে ফাঁকি দিতে তো শিখিনি !
মিথ্যে নয়, জীবনের সত্যিটা তো সত্যিই!
অস্বীকার করার তো কোনো জায়গাই নেই।
সত্যি সত্যিই মানুষটাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।


কিছুদিন হলো TUW তে পোষ্টিং হয়েছে তোমার।
হাসছো, ভাবছো কি করে পেলাম তোমার খবর!
কি করে জানলাম ? জেনেছি হোক না যেভাবেই !
তুমি তো আর আগে বাড়িয়ে বলবেনা।
কাজেই খবর রাখতে হয়, সেই আমাকেই !


এখানে এখন রাত, তোমার ওখানে হবে সন্ধ্যে!  
তবে আমার কাছে বড় কথা,তোমার ভালো থাকাই। সে পৃথিবীর যেখানেই হোক। কোনো অসুবিধে নেই।
দিন কয়েকের মধ্যেই আমার মন ঠিক হয়ে যাবে,
যদি জানতে পারি তুমি ভালো আছো ভিয়েনাতেই।


তোমার কাছে আমার কিছু আছে কি না চাইবার ?অনুরোধ একটাই, বলতেই পারি আমি তা বার বার।
আমাকে ভোলানোর জন্যে মিথ্যে বলতে যেয়োনা ! সান্তনা এটাই যে, মিথ্যে বলা তোমার আসেনা।
আগাগোড়া ওটা তোমার স্বভাবে কোনোদিন নেই।


মাঝে মাঝে শুধু, "তুমি এখন কেমন আছো?"
সেই কথাটা লিখে জানাতে যেন মোটেও ভুলোনা !
হয়তো সবসময় আমি জিজ্ঞেস করতে পারলাম না, বা সংসারের কাজের চাপে জানতে চাওয়া হলোনা,  তবু মনে করে জানিও কথাটা, কেমন আছো তুমি!