যদি চাইলেই হাতে একটা জাদু দন্ড পাই,
তবে এক্ষুণি অদৃশ্য চাদর মুড়ি দিয়ে,
নিমেষেই ঐ কালো সাগরের তীরে যাই।
যত বিষ জমা হয়েছে ওখানে যুগ যুগ ধরে,
সেই বিষের সমস্তটাই যদি সেঁচে নিয়ে পাঠাই,
মহাকাশের অজানা অচেনা কোন কালো গওহ্বরে!
তাহলে মনে হয়, ইউক্রেনের যুদ্ধটা থামতে পারে।
তারপর হয়তো আবার ক্রমে ক্রমে বিষ জমা হবে,
অজান্তেই এই পৃথিবীর কিছু কিছু মানুষের অন্তরে,
সে সব তারা দেবে উগড়ে পথে, ঘাটে, মাঠে, প্রান্তরে।
পরিবেশ ভালো রাখতে ঐ বিষ যাবে কালো সাগরে,
বহুদিন আগে থেকেই মানুষ কেন ওখানে যুদ্ধ করে ?
" ব্ল্যাক সী " রক্তক্ষয়ী সংগ্ৰাম থামাতে পারেনি !
আর যাই হোক সে " নীলকন্ঠ " হতে তো পারেনি ।
এই যুদ্ধের পরিবেশে কি করে চাষীরা ফসল ফলাবে,
খাবারের যোগান বন্ধ হলে মানুষ কি করে বাঁচবে !
যাদু মন্ত্র দিয়ে কি ওরা মিসাইল, যুদ্ধবিমান বানাবে ?
আর বছরের পর বছর ধরে এরকম যুদ্ধ করে যাবে !
একটা চিচিঙ্গা গাছের কাছেও কিছু শেখার আছে,
কি করে যে এতো অপূর্ব সুন্দর ফুল ও বানিয়েছে !
যুদ্ধবাজ মানুষেরা কি সে কথাটা কখনও ভেবেছে ?
মারণ ডুবো জাহাজের কৌশল নিয়ে চিন্তা না করে,
সুন্দর,নতুন ভালো কিছু যদি আবিস্কার করতে পারে,
আমি নিশ্চিত, ওরা নিশ্চয়ই তবে যুদ্ধ ভুলে যাবে ।
কারো কাছে জ্বালানি, কারো কাছে আনাজ থাকলে,
দুজনে স্বার্থের খাতিরেও এভাবে বন্ধু হয়ে গেলে !
কেউ মরবে না তখন,খেয়ে-পড়ে-সুখে বাঁচবে সকলে।
কাঠুরেও তো তাই কুড়ুলের সুরুয়া বানাতে চায়,
রাতের অতিথিকে মজায়, নিজের কেরামতি দেখায় !ইচ্ছে করেই অতিথির খুঁদ কুঁড়ো চেয়ে নেয়,
কুড়ুলের সাথে সেই খুঁদ কাঠের আগুনে জ্বাল দিয়ে,
চমৎকার স্বাদের অপূর্ব সেই খুদের জাউ বানায়।
দুই বন্ধু মিলে মিশে এভাবেই বেশ পেট ভরে খায় !