রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল কেমন !
ভাই-দাদার ভালোবাসা-শ্রদ্ধা মিশে হতে পারে যেমন।
খড়্গ নাসা মুখের ঐ টেপা ঠোঁট ও ভ্রুকুটি বলে দেয় ,
ছিলো ভেতরে কোনো গভীর দুঃখ বা চাপা অভিমান,
তবুও কাবু করতে পারেনি  কোনোরকম ডিপ্রেশন।
তাই তো শত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও জ্ঞান বিলিয়েছেন,
নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কোনো এক আত্মীয়ের__ এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে তিনি জন্মেছিলেন,
কলেজে পড়াকালীন অবশ্য পিতৃহারা হয়েছিলেন।
তবু কষ্টে সৃষ্টে পড়াশোনাটা চালু রেখেছিলেন।
জেষ্ঠ্য পুত্রের কর্তব্য পালন করতে এক মিশনারী___ স্কুলে মাষ্টারের চাকরী নিতে , বাধ্য হয়েছিলেন।
বিজ্ঞানের প্রতি আগ্ৰহের আতিশয্যে ছাত্রজীবনে___ শুরু করা লেখালেখিটা পরেও জারি রেখেছিলেন।
পত্রিকার সুবাদেই রবীন্দ্রনাথের নজরে এসেছিলেন!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলেমেয়েদের ও পড়িয়েছেন।
তা ছাড়াও শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি এমনিতেই বহু ছাত্রর গুরু হয়েছেন,
কোনো কারণে  ছাত্রকে অনাহারের শাস্তি দিয়ে____
নিজেও কষ্ট পেয়ে কতদিন যে না খেয়ে থেকেছেন !
বাংলায় সহজ সরল করে বিজ্ঞানের তথ্য লিখেছেন।
ছোটোদের কি করে পড়তে আগ্ৰহ হয় তা ভেবেছেন,
লোকে বলে, তিনি নাকি কিলিয়ে কাঁঠাল পাকাতেন।
আসল কথা, পড়ার বিষয় কে সরস করে বোঝাতেন! কৃষ্ণনগরের বসন্তকুমারী দেবী-অভয়ানন্দ রায় তনয়,
"রায়সাহেব" খেতাবও পেয়েছিলেন জগদানন্দ রায়।
"বাংলার পাখি","পোকামাকড়",  "প্রকৃতি পরিচয়",
অথবা সেই কল্পবিজ্ঞান কাহিনী "শুক্র ভ্রমণ" !
এইসব অভূতপূর্ব লেখার কি আর কোনো তুলনা হয়!
এক সময়ে ডেকেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান পরীক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন।
বিজ্ঞান যখন মানুষের জীবনে ভয় সঞ্চার নয়,
একদম স্বাভাবিক ভাবে নিজেদের হয়ে উঠবে !
সেদিন তাঁর সমস্ত পরিশ্রম স্বার্থক হবে,একথা বলেন।