স্বাধীনচেতা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় শুধু নয়,
আগে এবং এখনও কিছু মানুষ স্বাধীনচেতা হয়।
ঈশ্বর নামে দেখেছি আরও একজন, আশ্চর্য তা নয়।
ভগবান চন্দ্র দাস, নামেও ছিলেন একজন মানুষ,
"স্বাধীন" নাম হয় মানুষের, অনেকটা যেন ফানুস।
নিজে কতটা স্বাধীনতা পায় তা তো জানা নেই,
তবে বড়দের কাছে সে, বকা তো খেয়েছে নিশ্চয়ই।
আসল কথা হলো, এই বিশ্বে কেউ সত্যি স্বাধীন নয়,
সত্যিকারের স্বাধীনতা বলে আদৌ কি কিছু হয় ?
এ তো জানা কথা যে অরুণ, অদিতিকে ভালোবাসে,
কিন্তু এ কথা শুনে বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকলেই যে হাসে !
মেঘলা দিনে কোথায় এখন প্রমাণ পাওয়া যায় !
সূর্য যে চুপি চুপি হলেও রোজ দেখা দিয়ে যায়।
দূপুরের রোদে তো সকলেরই আকাশে তাকানো দায়,
কিন্তু সকালে সবদিন কি আর অরুণকে দেখা যায় ?
শীতের দিনে দেখা যেতো ওকে দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে,
কিন্তু নিয়মে বাঁধা গতিপথ,আজ সকালে হঠাৎ দেখি,
ওমা! কি কান্ড ! ও যে উত্তর-পূর্বের আকাশে ভাসে।
মাঝখানে এতদিন সকালে ওর অবস্থান হয়নি দেখা,
আড়াল করে রাখতো বাড়ি, ঘর ও গাছপালার শাখা।
বেশিরভাগ দিন দেখেছি বিকেলে পশ্চিমে জানালায়,
অথবা বাইরে বেরোলে পশ্চিম আকাশের কোনায়।
রোজ কি আর সূর্য দেখতে বাইরে বেরোনো হয়  !
দেখতে পেলেই আমার ছবি তুলতে খুব ইচ্ছে হয় ।
তাই আজ তরুণ অরুণকে ক্যামেরাবন্দি করতে চাই,
রেডি হয়ে দেখি ওমা ! সূর্যটা আবার গেল কোথায় !
"গুডমর্ণিং"কিংবা"আই লাভ ইউ" বলার উপায় নেই ?
ঐ টুকু সময়েই একদল মেঘ এসে আড়াল করে দেয় !
অযাচিত মেঘ এভাবেই ভালোবাসায় ফাটল ধরায়।
এই বিশ্ব প্রকৃতিতে সূর্যের পর্যন্ত একটু স্বাধীনতা নেই,
এসব দেখেও মানুষ স্বাধীন হতে চায়, আশ্চর্য এটাই !
"ভালোবাসা" কেও কেউ কেউ "বন্ধন" ভাবে______
অদৃশ্য ঐ সূতোকে কেটে বেরিয়ে যাবার হুমকি দেয়,
সে স্বাধীনতা পেলেও কি তাতে আনন্দ পাওয়া যায় !