এমন একটা সময় ছিল যখন একটুও মিথ্যে বলা,
আঁকা বাঁকা কোনো পথে চলাকে ঘেন্না করতাম।
অভিনয় করাটাও যে জরুরী তা কি তখন জানতাম!
কেউ আমাকে মিথ্যে কথা বললে একাই কষ্ট পেতাম।
অথচ আশ্চর্য যে,গল্প শুনতে/পড়তে ভালোবাসতাম।


সব গল্প যে সত্যি-গল্প নয়, এটা তো জানা কথা ,
তবু সত্যি শোনার লোভেই কিন্তু গল্প পড়তাম।
কথা বলতে বলতে একদিন এলো এমন একটা সময়,
নিজেই বুঝলাম, সব বলতে নেই, কিছু লুকোতে হয়।
প্রয়োজন পড়লে করতেই হয় এক আধটু অভিনয়।


কেমন আছি আমি? প্রশ্নটা আমার দিকে ধেয়ে এলে,
চলে ? উত্তর না দিয়ে অন্য কোথাও পালিয়ে গেলে !
যদিও কখনো কখনো কিন্তু...এমন ইচ্ছেও যেন হয় ।
ভালো আছি, কথাটা বলতে. কেমন ক্লান্ত বোধ হয় ,
বিশেষ করে,খারাপ থাকলেও যদি উল্টো বলতে হয়।


ভালো নেই বললেই, অযথা অনেক প্রশ্ন উঠে আসে,
বাধ্য হয়ে কথার উত্তর দিতে কে আর ভালোবাসে !
তার চেয়ে অনেক ভালো উপায়,একটু কম কথা বলা,
অনেক সোজা, ঘাড়টা হেলিয়ে নীরবে হেসে ফেলা।
অভিনয় যেন পাকা হয়,গলায় হোক না তেতো গেলা।


কিন্তু মাঝে মাঝে অভিনয় করে করেও ক্লান্তি আসে,
হয়তো আড়ালে,আবডালে চোখের জলে বুক ভাসে।
বলতে চাইলেও কথারা কোথায় যেন যায় লুকিয়ে,
অথচ মনটা সদাই কথা শুনতে চেয়ে, রয় মুখিয়ে।
জীবন চলে জীবনের রাস্তায় অভিনয়কে সাথে নিয়ে।