স্মৃতিতে লাল রঙটা একটু ফিকে হলেও হতে পারে,
তবু কথাটা আমার মাঝে মাঝেই বেশ মনে পড়ে।
তরুণ অরুণকে আমি প্রথম দেখেছি দিম্মার কপালে।
কিছুটা লাল আভা থাকতো ছড়িয়ে দিম্মার গালে !
রাঙা টুকটুকে মুখে ঝলমলে সেই লাল সিঁদুরের টিপ,
আকারে বড় সে অনেকটাই, আমার মায়ের টিপের।
চাপা রঙের সামান্য মেয়ে নয়, সে যে চম্পকপ্রভা !
রাগে, লাজে, কাজে, সকল সময় ছড়ায় যেন আভা।
চাঁদমামা এসে আমার কপালে টিপ তো দিয়ে যাক,
রাগী সূয্যিমামা বাপু, আমার দিম্মার কপালেই থাক।
ঊষা কিংবা ঊষসী নাম গুলো দিম্মাকেই দিয়ে দেবো,
আমি শুধু সূয্যিমামার ঐ ভোরের আলোটুকুই নেবো।
চাঁদমামা সদাই শান্ত শিষ্ট এক ভালোমানুষ লোক,
দুপুর বেলা রেগে যাবেই অরুণ, আসবে নেমে কোপ।
তাইতো আমি তরুণ অরুণকে আজো ছুঁতে ভয় পাই,
একটু বেশী রোদে থাকলেই যেন একদম পুড়ে যাই।
একেই কালো চামড়া, তার ওপরে যদি লাগে তাপ,
কান, মাথা করে ভোঁ ভোঁ, যেন বেরোয় গরম ভাপ।
স্ত্রী সংজ্ঞাও ওনার তেজ সহ্য করতে পারেননি ,
ছায়া হয়ে থেকেছেন, ভালোবেসেও সঙ্গ ছাড়েননি !
সবদিন, সবসময় যেন ভোর উত্তর মেরুতে তাই,
সূর্য্য সেখানে অরোরা হয়ে ভালোবাসার রঙ ছড়ায়।
আমার দিম্মা, চাঁদ ও সূর্য্য, দুজনকেই ভালোবাসে,
আমার মুখের মামা ডাক শুনে ওরা সকলেই হাসে।
চাঁদনী রাতে দিম্মা আমায় ভূতের গল্প যেমন শোনায়,
রোদ উঠলে উঠোনে ধান,ডাল, লঙ্কা ও কুল শুকায়।
ভোরের রোদের নরম আদর, দূর থেকে লাগে ভালো,
ধার নিয়ে তাই চাঁদের মতোই ছড়াতে চাই যে আলো।