লোহরি কিংবা লাল লোই এর কথা আগে শুনিনি,
দুল্লাভাত্তি ডাকাত নাকি লুটেরা তা কি আর জানি !
কিন্তু লোকে রবিন হুডের মতো লোকটাকে ভোলেনি,
সুন্দরী-মুন্দরীদের দাস হাটে বিক্রির থেকে বাঁচায়,
নিজের উদ্যোগে পুরোহিত ছাড়াই ওদের বিয়ে দেয়।
আজও ছেলেপুলেরা কাঠ চেয়ে এনে জড়ো করে,
আগুন জ্বেলে  সকলে খই, ভুট্টা, তিল দেয় আহুতি !
সূর্যপূজার পাশাপাশি দুল্লাভাত্তির প্রতি জানায় প্রীতি,
এসব নাকি প্রচলিত পাঞ্জাব,সিন্ধু,হিমাচল,কাশ্মীরে,
বাংলার মকর সংক্রান্তির আগের দিনটা মনে পড়ে।
দিম্মার বাড়ির মাঝখানের উঠোন ঝাড়া হতো রোজ,
আর এইদিনে বাইরের উঠোন ঝাড়তে আগ বাড়িয়ে_
আমরা ছোটোরাই নিতে যেতাম ঝাঁটাদের খোঁজ !
পরদিন ভোরবেলাতে স্নান, আর হবে পিঠের ভোজ !
আম-কাঁঠালের পাতার পাহাড়টা যে হওয়া চাই উঁচু,
যত উঁচু পাহাড়,তত বেশিক্ষণ পোহানো যাবে আগুন,
এই সহজ কথাটা সহজেই বুঝেছিলো তখন এই মন।
ইচ্ছে করে ঘুরে ঘুরে হয়তো নাচা হয়নি তখন ভাঙড়া,
শীতে ঠকঠক কাঁপা-কাঁপি নাচ চালিয়েছি আমরা !
তার সাথে মজাদার লাল পোয়া আর পাটিসাপটা,
কোথায় লাগে মাক্কে-কি-রোটি ও সর্ষো-কা-শাক টা !