পেলের প্রথম কোচ ছিলেন তাঁর বাবা___
সেন্টার ফরোয়ার্ড ডোনডিনহো।
আর পেলের ছেলে, হয়েছে গোলকিপার এডিনহো !
কিন্তু পৃথিবীর সবার মনে যায়গা পেয়েছে পেলে,
সকলের প্রিয় সেই ফুটবল খেলা খেলে।


মনে হয় পেলের মাথায় বাবার আশীর্বাদ অফুরান,
নয় বছর বয়সেই বাবাকে করেছিলো সান্তনা দান।
মারাকানাজোর ফলে ডোনডিনহোর চোখে জল,
দেখে, ছোট্টো পেলের হৃদয় যে হয়েছিল আকুল !
আশা আর চেষ্টা থাকলে ন্যাড়া গাছেও ফোটে ফুল।


ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে রিও ডি‌ জেনেরোর মারাকানা,
ফাইনাল ম্যাচে উপচে পড়া ভিড়ে সকলে তালকানা।
ধরেই নিয়েছিলো সকলে, ব্রাজিল জিতছেই জিতছে,
কিন্তু ঘটনাটা ঘটে গেল ঠিক উল্টো শেষমেশ !
তারপর, দেশবাসীর মনে জেদ এসে গেল বেশ ।


উরুগুয়ের কাছে সেই হার ব্রাজিলিয়ানেরা ভোলেনি,
বিশ্বকাপের ফাইনাল‌ থেকে ছিটকেও‌ হাল ছাড়েনি।
আটান্ন থেকে সত্তর,ম্যাজিক দেখেছে পৃথিবীর লোক,
সতেরো বছরের পেলে'র গ্যারিঞ্চার সাথেই স্বপ্নপূরণ,
বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে, খুশীতে ভরেছে সবার মন।


দুই দিন হলো,‌ এডসঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু চলে গেল,
এতদিন গ্যারিঞ্চা পরপারে একা ছিল, মিলন হলো !
পৃথিবীবাসীকে সুখ-দুঃখের চোখের জলে ভাসালো।
ভবিষ্যতেও ফুটবলে, কখনও পেলের কথা উঠলে,
গ্যারিঞ্চা, সেই ছোট্টো পাখিটির নাম আসবেই চলে।