ছোটোবেলাকার গ্রামের জলখাবার ?
দই-চিঁড়ে, ছোলা সেদ্ধ, তেল মুড়ি, কলা আর গুড়।
মাঝে মাঝে চিঁঁড়ে ভাজা ও সুজির হালুয়া,
কখনও পিঠে, পায়েস, তালের বড়া বা মালপোয়া।
বানাতে কষ্ট হয়, একথা শুনিনি কখনও,
ছিল তাতে আনন্দ, কিছু হাসিমুখ মনে পড়ে এখনও।


প্রথম যখন শহর থেকে ম্যাগি বাড়িতে এলো,
খাবারের চেহারা দেখে তো, চোখ জুড়ালো।
সেদ্ধ হবার পরে, এমন ক্যাতকেতে কেঁচোর চেহারা,
দেখে সত্যিই ঘেন্নায় আমাদের চক্ষু হলো ছানাবড়া !
মুখে দিয়ে বুঝি যে, স্বাদ নয় একেবারে ততটা মন্দ !
কিন্তু এ খাবারটায় আছে কেমন যেন বিজাতীয় গন্ধ।


নতুন যে কোনো কিছুতেই বোধহয় থাকে বেশ আগ্ৰহ,
তাই হয়তো মেনে নিয়ে খেয়ে নিতাম, না করে কলহ। দিন যায়-মত পাল্টায়,খাওয়াই সবাইকে ভালোবেসে,
আসল কথাটা আমিই জানি, আর অন্তর্যামী হাসে !
বানানোর পরিশ্রম ও সময় এভাবেই বাঁচাই _____
যদি সবার সাথে আমাকেও খেতে হয়, বেকুব হই ।


বেড়াতে গেলে পিৎজা, ইডলি,‌ ধোকলা, ধোসা,
দোকানে অর্ডার দিলেই, দেখানো হয় ভালোবাসা!
লুচি, পুরি, ঢাকাই-পরোটা, অথবা মটরশুঁটির কচুরি,
কে আর বানায় ম্যাড়মেড়ে সাদা আলুর চচ্চড়ি !
মনে হয় বরাবরের মতো শহর ছেড়ে দৌড়ে পালাই।
আবার গ্ৰামে গিয়ে আগের মতো ছাতু মেখে খাই।


দুধ সহ মুড়ি, চিঁড়ে, ওটস, কর্নফ্লেক্স কিংবা খই,
একটু গুড় ও গাছপাকা সুগন্ধি মর্তমান কলা চাই।ছোটোবেলার সবরি-কলা আর কোথায় পাই?
তাই মায়ানমারের মার্তাবানকেই আপন করে নিই।
তবে ভাগ্য ভালো যে, শহরেও কলা পাওয়া যায়,
বানর না হয়েও আমি বানান তৃপ্তি করেই খাই।