আজকাল বর্ষার আকাশের মেঘ এতো সাদা কেন ?
কবিতায় শ্রাবণ এলেও শ্রাবণের ধারা ঝরছে না যেন,
আকাশের গায়ে আর সেই টক টক গন্ধটা নেই !
বিষাক্ত বাতাসে খুব ঝাল হয়ে গেছে ব'লে মনে হয়।
এমন সময়ে তো আগে, পৃথিবীর পথে, ঘাটে, মাঠে,
নদী আর নয়ানজুলি গুলিতে, জল করতো থৈ থৈ।
সন্ধ্যের অন্ধকারে কেউ কেউ ধরতো জ্যান্ত কৈ !
হয়তো এভাবেই যাচ্ছে বেঁচে কৈ মাছেদের প্রাণ,
কিন্তু গরমে করছে হাঁসফাঁস আজ মানুষের জীবন।
পৃথিবীর যেখানে, যেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, লোক মরছে,
বিস্ফোরণের আগুনের গোলা আকাশে ছুটছে !
দেখতে আতসবাজি মনে হলেও, অতি সাংঘাতিক !
ওই সব কিছুই তো আজ পরিবেশ দূষিত করছে।
এতদিন ধরে জেনে এসেছি ইউরোপ শীতের দেশ,
আজ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
প্রকৃতির ওপর যথেচ্ছাচার ! ঘটবেই তো সর্বনাশ।
এতো উত্তাপ ছড়িয়েছে যে কবিতারও জ্বর এসেছে,
চোখ থেকে ওর ঝরছেনা জল অথচ ভেতরে কাঁদছে।
কবিতা নামটি বেশ নরম মনে হলেও আসলে তা নয়,
কবিতাও যেন অনেকটা প্রকৃতির মতই খেয়ালী, কখনও সহানুভূতিশীল আবার কখনও নির্মম-নির্দয়।
একতরফা ভালোবাসা তো অনেকেই বাসে তাতে কি! কবিতাকে ভালোবাসলেই যে কবিতাও ভালোবাসবে,
এমন ভাবার কারণ নেই, ব্যাপারটা তত সহজ নয়।
কবিতার রূপে মুগ্ধ হয়ে নয়, কবিতার মন দেখা চাই।
তোমার অনেক কবিতা থাকলেই যে তুমি কবিতার__
তা নাও হতে পারে, প্রশ্নটা আসলে তো টিকে থাকার।
কোনো শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে কবিতা ভালোবাসেনা,
আপন ছন্দে বইতে চায়, ধরা দেয় ইচ্ছে করে নিজেই।
কবিতার আসন পাতা রয়েছে তো মানুষের হৃদয়েই।
কবিতার মুখে, বুকে, বাঁধ বেঁধে দিলে কবিতা ফুঁসবে,
সাবধান! ডায়েরি, বই, খাতা সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
বন্যার জলে অক্ষরগুলো ভিজে, একেবারেই মুছবে।