মাঝে মাঝে অতীতের পুরোনো স্মৃতি খুঁড়ে,
মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা মনে পড়ে।
হাজার দুয়ারী বেড়াতে গিয়ে, গিয়েছিলাম___
মুর্শিদাবাদের দেবী সিংহের নশিপুরের রাজবাড়ী,
অবস্থা সঙ্গীন ! যেন বলে, এখনই ঝরে পড়ি।
নিষ্ঠুর জমিদারের বাড়িটার ভেতরে,
ঢুকেই গা ছমছম, অতীত যেন কথা বলতে পারে!
মনে পড়ে প্রজাদের নির্যাতনের নানান কাহিনী !
শপাং করে যেন এসে লাগে, বেলের ডালের বাড়ি।
আছে, মানুষ আটকে রাখার ছোট্টো ছোট্টো কুঠুরি,
ফাঁসিতে ঝোলানো হতো যেসব নিরূপায় প্রজাদের,
মৃত্যুর পর কুঁয়োতে ফেলা হতো তাদের ।
কুঁয়োর যোগ ছিলো নালা দিয়ে একেবারে গঙ্গায়,
প্রমাণ লোপাট, টাটকা মৃতদেহ তো ডুবে যায় !
পরিবার পরিজন আর কি করে তাকে পাবে !
অন্তিম সৎকারের কথা ভাবার সুযোগ কোথায় ?
ভোলানোর তরে, হয়তো মন্দির দাঁড়িয়ে সারি সারি।
অবাক হই দেখে, বারান্দায় শ্বেত পাথরের জাফরি,
এতো সুন্দর মিহি হাতের কাজ, নিশ্চয়ই পাকা মিস্ত্রী!
পা দুটো যেন আরো কিছুক্ষণ আটকে থাকতে চায়,
কোনোরকমে টেনে হিঁচড়ে নিজেকে বের করি।