হয়তো নীরবে চুপিসারে প্রেম এসেছিলো বলেই,
রাতের আঁধারে ফুলটি নিঃশব্দে ফুঁটে উঠেছিলো !
শুধু যে ভালোবাসার লাল রঙে, তা রাঙা হয়েছিলো,
ব্যাপারটা হয়তো ঠিক তা নয়, ততটা সহজও নয় !
এমনিই কি আর তাতে মনের ছাপ ফুঁটে উঠেছিলো ?
প্রতিটি পাপড়িতে কি তোমার স্বাক্ষর আঁকা ছিলো !
গোলাপ কখনও আয়নায় নিজের মুখ তো দেখেনি,
তাই তাকে দেখতে কেমন, সেকথা কখনও বোঝেনি।
কারো কথা ভেবে সে তো ফুল ফোঁটাতে চায়নি,
হয়তো কেউ আশা করে সার,জল দিয়েছিলো !
গোলাপ গাছটা এতো বোকা, সে খবর টুকুও রাখেনি,
কখন প্রেম এসেছিলো সে কথাটা জানতেও পারেনি।
টকটকে লাল গোলাপটা ফোঁটাতে কষ্ট পেয়েছিলো,
কাঁটায় নিজেই কেমন করে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলো!
বেশ মনে আছে, অকারণেই কিছু রক্ত ঝরে ছিলো ।
প্রকৃতির নিয়মেই হঠাৎ এমন সুন্দর ফুল ফুঁটে ছিলো,
কিন্তু এখন গাছপালা, মালি, সকলেই হচ্ছে আধুনিক,
একটা গাছেই হাজার গোলাপ চাই, গন্ধ না থাকুক !
দেখতে লাল হলেই চলবে, ভরবে তন মন সকলের,
না হয় লাল রঙটা একটু ফিকে হয়ে যাবে, হোক !
ভালোবাসা যদি না থাকে সেথায়, নাই বা থাকুক।
গদ্যময় পৃথিবীতে আজ ব্যবসাটা জরুরী মনে হয়,
কবিতার মতো সুন্দর ফুলের প্রয়োজন কোথায় !
যে শুধুই ভালোবেসে গন্ধ বিলায়, তাকে কে চায়!
যদি কেউ চায়, গোলাপ গাছের সে ক্ষমতা কোথায় ?
গাছেরও ক্লান্তি আসে, মন খারাপ হয়, খুশি পালায়।
তাই গাছও মাঝে মাঝে নিজের কাঁটা অথবা ক্ষত,
নিজের মনের অবস্থা, শারীরিক অক্ষমতা লুকোয়।