গলার যত্ন নিন, গলার যত্ন নিন,
কেউ যদি ভাট বকানোর চেষ্টা করে,
আর আপনি তা সহজেই বুঝে যান !
তাহলে তার সাথে টোটালি কথা বন্ধ করে দিন।
নিজের হুকুম তামিল করানোর জন্যে,
চিৎকার করবেন না খবরদার !
ভোকাল কর্ড ছিঁড়ে গেলে পাবেন না আর।
আপনি তো মশাই ভদ্রলোক, নন জমাদার,
খান্ডারনী গিন্নি হলে ভাবছেন কি করবেন ?
আরে মশাই জোর ভলিউমে গান শুনুন !
তাতে উপকার আপনি অবশ্যই পাবেন,
গিন্নিও চিৎকার বন্ধ করে গান শুনবেন।
কথাটা আমার, ইচ্ছে হলেই মিলিয়ে নেবেন,
অবশ্য আপনার মর্জি, দরকার মনে হলে,
তখন না হয় অল্প অল্প সন্দেহ করবেন।
তবে এমার্জেন্সি ক্ষেত্রে তার কি সময় পাবেন ? বৌদিমণি আর দিদিমণিরাও কি কম যান !
দাদাবাবু বা শাশুড়ি মায়ের সাথে পাল্লা দেন ।
কি দরকার ! স্রেফ হাটকালা সাজুন ,
বুঝলেন না কথাটা, তাই তো ?
মানে পুরোপুরি নয়, একরকমের হাফ কালা।
হাটের চিৎকারে যেমন লোকে দরকারি কথা শোনে,
গুমগুম শব্দের মাঝে ভাবে, কি কি সস্তায় কেনে!
ঠিক তেমনি যখন দরকার মনে হবে শুনবেন,
বাকি অপ্রয়োজনীয় সব কথা বাতাসে ভাসাবেন।
দেখবেন, অনেক বেশী হালকা থাকতে পারবেন,
তখন নুন জলে গার্গল করতে আর হবেনা,
ফ্যাঁসফ্যাসে গলায় কথা বলে কষ্ট পেতে হবেনা।
তবে হ্যাঁ, শীতের দিনে দই, আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ,
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা নয়, করুক না বন্ধুরা সন্দেহ ।
গলাবাজি করে কি আর সবসময় জেতা যায় ?
মনে রাখবেন, একটু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে হয় ।