আমি চাই মনটা তোমার সদাই খুব ভালো থাক,
গভীর রাতে কখনও শোনো যদি শেয়ালের ডাক,
মনে জেনো, এতে নেই একটুও কিছু ভয়,
বেশী রাতেই তো ওদের মিটিংয়ের সময়।
ভুত, প্রেত, দত্যি, দানো করবে তোমার কি ?
আমরা তো ছোটো থেকেই চোদ্দ শাক খেয়েছি !
আকাশে জ্বলছে দেখো ঐ দ্বাদশীর চাঁদ,
এ ভূবনে পাতা আছে নানা সৌন্দর্যের ফাঁদ।
ভালো না লেগে, মুগ্ধ না হয়ে কি পারা যায় !
চাঁদ দেখতে গিয়ে যদি দেখে নাও ধুতরার ফুল,
রাতে ফোঁটা ধুতরা তোমার মন করবেই আকুল !
বুঝবে তখন কেন, এ ফুল পছন্দ আশুতোষ এর,
আকার, আকৃতি, সুগন্ধ কিছু কম নেই এ ফুলের । আগের মতোই সমাজে করা হয় সম্ভ্রান্তদের কদর,
টাকা, পয়সা, গাড়ি, বাড়ি, স্ট্যাটাস আছে যাদের।
ঘেঁটু, ধুতরো, এরা বাড়ায়না তো শোভা বাগানের,
এই প্রকৃতির বুকে সকলেই নিজের মতো সুন্দর ।
শিব ঠাকুরের নেই জাত, বংশপরিচয় কোনো কুলের,
শ্মশানে ফেরা, ছাইয়ে ঢাকা দিব্যকান্তি তাঁর শরীর !
মনে মুগ্ধতা ছড়ায় আজো সকল ভারতীয় নারীর।
একমাত্র ছেলেকে তাই তো বলে সলতে শিবরাত্রির,
একজন শিবের মতো বর পেলে মেয়েরা রায় বর্তে।
পত্নীপ্রেমের পরাকাষ্ঠা, জ্বলন্ত উদাহরণ এ জগতে,
মহাকালকে প্রকৃতিদেবী সহজেই দেন কোল পেতে ।
মাঝে মাঝে তাঁর স্ত্রীর রাগ হয় ওনার বচনে,আচরনে,
কিন্তু ভালোবাসার খামতি যে নেই তা দুজনেই জানে।
আত্মভোলা শিব ঠাকুর দশমহাবিদ্যার রাগে মুগ্ধ হন,
মানতেই হবে আবদার, কথাটা বুঝে চুপ করে রন।
দুর্গার বিরহ সহ্য করা শিবের পক্ষেও কঠিন ভারি,
তাই আদর নেই জেনেও চুপি চুপি যান শ্বশুরবাড়ি ।
এসব ভেবে খুশিতে চাঁদ আকাশে মনে মনে হাসে,
জানে, শ্মশানের নিশাচর, প্রেমিক অথবা শেয়াল,
সবার মনেই তাঁর স্নিগ্ধ রূপের আলো, মুগ্ধতা ছড়ায় !
এই পৃথিবীর সকলেই যে চাঁদকে খুব ভালোবাসে।