কেউ জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, কেউ বা হয়েছে পরে।
তাই বলে কি ওরা সকলেই জীবনের কাছে হারে ?
তার মধ্যে অনেকেই লেখায়, গানে, কবিতায়, খেলায়,
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, পেরেছে করতে পর্বত জয় !
কেউ প্রতিবন্ধী হলেই বেচারা, এই ছিল ধারণা,গুজব,
সত্যম ডাক্তারের বৌ কাঞ্চন গাবা, সত্যিই আজব।
জন্মান্দ্ধ নয়, আট বছর বয়সে দেখতে পেতো সব,
হঠাৎ অঘটন, চোখের পেছনের নার্ভ গেল শুকিয়ে।
চিকিৎসা হয়, কিন্তু দেখতে পায়না আর কিছুই,
তাই বলে কি থেমে থাকে জীবনের চাকা?
পড়াশোনা থামেনি, হয়নি তার জীবন ফাঁকা।
স্পেশাল ভাবে কাঞ্চন পড়ে, মনোরম পরিবেশে।
এমন ঘটনা ঘটে চলেছে অজান্তেই, নানা দেশে।
এম.এ পাশ করেই থেমে যান নি, ওকালতিতে ,
পি.এইচ.ডি. করে উকিল হয়ে করেন ওকালতি!
সাথে ছিল অদম্য ইচ্ছে, পাহাড় চুড়ো জয়ের স্বপ্ন !
কি তাঁর অভিমত ? এ ব্যাপারে তিনি কি কি বলেন ?
কত উঁচুতে উঠছেন দেখতে পান না, সেটাই সুবিধে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন আট বছর!
কঠোর অধ্যাবসায় ও দুর্দান্ত প্রচেষ্টার সে কি বহর !
অসীম, কথাটা চোখ বন্ধ করেই বোঝা যায় ভালো,
অন্তরে প্রত্যেকেরই জ্বালানো চাই কাঞ্চনের আলো।
পেয়েছেন নানা পুরস্কার, লন্ডনের মহারানীর আদর,
প্রতিবন্ধীদের অবজ্ঞা নয়, করা চাই বিশেষ সমাদর।



"সহমর্মিতার সংবেদন"