মিত্র ইনস্টিটিউশনের নাম তো অনেকেই জানে,
বছরে অন্তত একদিন মিষ্টির দোকানের মাতৃভোগ,
মিত্রভোগ হয়ে যেতো যার কল্যাণে !
বাঙালিমাত্রই তাকে কে.সি.নাগ বলে চেনে।
বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলিজিয়েট স্কুলে পড়েছে যারা,
অনেকেই নিজেদের জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারা
ওখানকার অঙ্কের শিক্ষকের খ্যাতি শুনে,
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, কেশব চন্দ্র নাগকে,
নিয়ে এলেন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনে টেনে।
সেই থেকেই কেশবচন্দ্র নাগ কলকাতায় রইলেন,
সহশিক্ষক কবি কালিদাস রায়ের আপনজন হলেন।
অঙ্ককে ভালোবাসলেই অঙ্ক একদম সোজা হয়,
কথাটা সবার প্রথমে তিনিই বলেছিলেন মনে হয়।  এখন, তর্কসাপেক্ষ গণিত বলে নাকি পাটিগণিত কে,
কথাটা আমারও পছন্দসই, অনেক ভেবেছি আগে,
বাঁদরের ওপরে ওঠার লাঠিতে তেল মাখাতো কে ?
জল জমানোর চৌবাচ্চা থেকে জল বেরোয় কেন ?
সেকথাও ভাববার মতো, হয়না কেন ফুটো সারানো ?
তবে ট্রেনের গতি আর বাবা-ছেলের বয়েসের হিসেব!
আহা ! কত যে আনন্দ হতো সে সব অঙ্ক কষে,
বেড়াতে যাওয়া‌ ও বড় হবার ভাবনা যে যেতো মিশে।