যদি এক আধটু একাকিত্বে ভুগেও থাকি তবু ভালো, হঠাৎ করে যদি সহকর্মী প্রেম নিবেদন করে বসে,
তাও আবার শরীরী প্রেম ! কার মাথা না গরম হয় ?
মানুষটিকে ঘৃণা করাই স্বাভাবিক, এ ভালোবাসা নয়।
বুঝতে পারছিলাম না ওনার এমন দুর্মতি হলো কেন?
কেন যে ঐ মানুষটা এমন পাল্টে গেল!
মানছি একটু একটু বন্ধুত্ব হয়েছিলো।
উনি নিজে বিবাহিত হয়েও ওনার মাথায়,
শরীরের চিন্তা কেন এলো ! শিক্ষা কোথায় গেল ?
মানুষ মানুষকে ভালোবাসতেই পারে,
কিন্তু তা যদি এরকম নোংরা পথে যেতে চায়,
তাকে ব্লক করাই উচিৎ, এসব সমর্থন করা যায় না।
ওনার স্ত্রীকে যে ঠকানো হয় তা কি উনি বোঝেন না ?
ঘেন্নায় আমি নিজেই ছেড়ে দিয়েছি চাকরিটা।
হয়তো উল্টো করে এবারে বলা হবে ব্যাপারটা!
প্রাচুর্য নেই এখন, কিন্তু স্বস্তি আছেই।
সেদিন রেল স্টেশনে হঠাৎ দেখা হতেই,
ব্লক করা উনি জিজ্ঞেস করলেন, "কেমন আছেন?"
বললাম, "ভালো আছি" ,  হ্যাঁ, সত্যিটাই বলেছি।
কিন্তু ঐ অহঙ্কারী মানুষটার সেই তেজ চলে গেছে,
যে আগুণ জ্বলছিলো, তা যেন নিভে গেছে,
একই সাথে মানুষটাও যেন পুড়েছে, ভেঙে পড়েছে।
ওনার মুখের ঐ হাসিটা যেন ঠিক হাসি নয়।
প্রতিহিংসা বা কান্নার আরেক রূপ বলে মনে হয়।
এসব কথা ভেবে এখন শুধু শুধুই যে সময় নষ্ট হয়,
"আসি" বলেই পা চালাই। পিছুটান আর নয়।
নোংরা মনের মানুষ, পাশে আসতে দেয়া উচিত নয়।