রুক্ষ চারপাশ বাঁধানো জায়গার মাঝে একটুখানি খোলা মাটি ছিলো।
কেউ সে জায়গাটায় হয়তো একটু জৈবসার দিয়েছিলো।
গত বছরের আগের বছর জুন মাসে, মালির কাছ থেকে একটা গোলাপের চারা কিনে এনে কেউ সেটাকে ওখানে বসিয়ে ছিলো।
প্রথম প্রথম একটু জলও যে না দিতো তা নয়।
তারপর ধীরে ধীরে গাছটার শেকড় মাটির গভীরে ছড়িয়ে গেল।
গত বছরেও বেশ কিছু ফুল ফুঁটেছিলো।
পাড়া প্রতিবেশীরা যাওয়া আসার পথে দেখে অবাক হয়ে তাকাতো।
কেউ কেউ হয়তো নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করতো।
মাটিতে লাগানো গাছে অনেক কম যত্ন করলেও চলে।
কথাটা, লোকে কি আর মিথ্যে বলে ?
না কোনো মালির হাতের ছোঁয়া, না কোনো রকম স্পেশাল কেয়ার!
তবু রোদে, বৃষ্টিতে গাছটা কিন্তু বেশ বেঁচে রইলো।
আসলে গাছটা বোধহয় নিজেকে পুরোপুরি ভালো বাসতে শিখে গেছে।
একটেরে হয়েও দিব্যি হাসি খুশি আছে।
মনের আনন্দে বাতাসে কেমন নিজের ডালপালা দোলায়।
লাল লাল ফুল ফুঁটিয়ে বাগানটাকে ভরিয়ে রাখে আলোয়।
আসলে নিজের প্রতি ওর বিশ্বাস গেছে বেড়ে।
কি করে নিজেকে ভালো রাখতে হয় কেউ গেলে ছেড়ে !
তা মনে হয় জেনে গেছে ! কি জানি, ও কি মালিকে  ভুলেছে!
মানুষেরও এই নিজেকে ভালো রাখার উপায় শিখে নিতে হবে।
দরকার মনে হলে মেডিটেশন, যোগ আর মন ভালো রাখতে যা যা জরুরী পদক্ষেপ বলে মনে হবে তা নিতে হবে।
তবু নিজেকে ভালো রাখতে হবে।
আর নিজেকে ভালো রাখতে গেলে সবার আগে নিজেকে ভালো বাসতে হবে।
ভালোবাসি বলে কেউ যতই গলা ফাটাক না !
আসল সত্য এটাই যে, নিজেকে যে ভালোবাসেনা,
সে কখনও কাউকে ভালো বাসতেও পারেনা।