মেঠো পথে হাঁটলেই তা, ধীরে ধীরে হয় জনপথ ,
পূরীতে জনগন, দড়ি টেনে নিয়ে যায় জগন্নাথের রথ।
ভগবান তো নিজে হাতে, কোনো কাজ করেন না !
রাজা যে প্রজাদের সেবক ! কে তা মানেন না ?
সেই কথাটা মনে করাতে, বছরে অন্ততঃ একদিন,
রাজা মশাই রথের আগে আগে পথ ঝেড়ে দেন।
কে জানে ! রাজার হাতে-পায়ে হয় কি না ব্যাথা !
পথে থাকেনা তো সেথা, কোনো লাল গালিচা পাতা,
পূণ্য ধুলির লোভে, ভিড় করে, আছে যত জনতা।
দেশবাসী নিজের কর্তব্যের কথা,এভাবে মনে রাখেন !
রাজা, রানী, সান্ত্রী, সেপাই, মুচি, মেথর, সব সমান,
জাতি ভেদ, হিংসা, রাগ আর আছে যত বিদ্বেষ,
মানুষের শুধু দোষ নয়, এ গুলো তো সংক্রামক বিষ।
পরিস্কার অন্তর, এমনিতেই পায় ঈশ্বরের আশীষ।
কোনো কাজ ফেলে না রেখে সময়ে কর্তব্য করে নিন,
চোখের সামনে দিয়ে যে যায় চলে, গোটা গোটা দিন।
বলছি বটে এসব কথা, নিজে মানতে পারি কোথায়,
জনগনের সমুদ্র, জগদ্দল আমাকেও বয়ে নিয়ে যায়।
হাঁড়ির ওপর হাঁড়ি চাপিয়ে রান্না হয় ঠাকুরের ভোগ,
খুব ভালো হয়, এই পদ্ধতিটা সকলেই শিখে নিলে__
জ্বালানীর দাম বেড়েছে অনেক, কিছুটা তো বাঁচুক !