ত্রিশঙ্কু নয়, ত্রি শঙ্কুর সাথে দেখা হয়েছিলো মনেহয়,
হয়েছিল হয়তো, ভিন গ্ৰহের প্রানীদের সাথে কথা ।
দেদীপ্যমান প্রস্তর খন্ড দিয়েছিলো ওরা উপহার !
দিয়েছিল হদিশ মানবজাতির চার প্রধান সংকটের,
সব জানা ছিল অসামান্য দেখতে সেই পাথরটার!
অর্দ্ধেক মটর দানার মাপে ছিলো সেটির আকার।
রাতের অন্ধকারে তার দিকে চেয়ে চেয়ে রাত জেগে,
চেষ্টা করতেন দূর করতে মানুষের মনের অন্ধকার ।
ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর চরিত্রে নাকি ছাপ রয়ে গেছে,
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের মিঃ চ্যালেন্জারের।
দ্বীপে, জলের তলায়, মহাকাশে, তাঁর অবাধ সঞ্চার,
মগজাস্ত্র ব্যবহার করে,নানা যন্ত্র করেছেন আবিষ্কার !
অযথা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের তরে,
যারা শখ ক'রে অপরের মগজ ধোলাই করে !
গবেষণা চলে তাই, তাঁর নিজস্ব গবেষনাগারে ।
যন্ত্রগুলো মনোযোগ দিয়ে এই জন্যেই তৈরী করা,
আসল উদ্দেশ্য দুষ্টু লোকেদের জব্দ করা।
কারো ওপর রেগে গেলে,তাঁর স্বভাব নয় মাফ করা,
শাস্তি না দিতে পারলে হন যে তিনি পাগলপারা ।
সাতাশ বছরের পুরোনো কর্মচারিও পায়না ছাড়া !
করেন প্রয়োগ প্রহ্ণাদের নাকে নস্যাস্ত্র বা স্নাফ গান,
চল্লিশ ঘন্টা ধরে হাঁচি দিতে দিতে প্রহ্লাদ খান খান।
এ যেন আরেক নতুন রকমের হোলিকা দহন ।
গল্প পড়তে গিয়ে আমার মাথাটা তো ঘোরে বনবন !
তবে বিজ্ঞানের সাথে যদি মেশে মানবিকতা,
সভ্যতার উত্থান,পতন,মনে হয় সমুদ্রের ঢেউ যেন তা।
যদিও তাঁর নির্মিত যন্ত্র গুলো মানুষের ভালো চায়,
হয়তো পরিস্থিতির কারণে কখনও গন্ডগোল বাধায়।
তবে নিজের মুখে স্বীকার করেছেন প্রফেসর ,
"জটিল যন্ত্র তৈরির ব্যাপারে এখনও প্রকৃতির ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি মানুষ।’’
তবু ভালো লাগে পড়তে কল্পবিজ্ঞানের এই সব গল্প,
যেন মনে মনে নীল ঐ আকাশে ওড়াই রঙীন ফানুস।