দয়া করে অতিরিক্ত লোভ করা ছেড়ে দাও,
বেশীদিন সুস্থ হয়ে বাঁচতে একটু কম খাও।
খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে করা কোনো কথা নয়,
খিদে পেলে তবে, আর সময় বুঝে খাবার খেতে হয়।
ভাত, রুটি আর যতরকম আছে কার্বোহাইড্রেট,
অপরিমিত খেলে হবেই গড়বড় মেটাবলিক রেট।
হজম শক্তির ওপর যত বেশী দেওয়া হবে চাপ,
বলবেই সে,"ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, বাপরে বাপ!"
প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় খাবার ও বুঝে খেতে হয়,
কোনো প্রকার খাবারই খুব বেশী খেলে উপকারী নয়,
সারাজীবন খাবারের সাথে সমঝোতা করতে হয়।
ভালোভাবে হজম হবার নিয়মটা একটু শুনে নাও,
পেট ভরে না খেয়ে, একটুখানি খিদে রেখে খাও।
এতে করে খাবারের প্রতি রুচিটাও ভালো থাকবে,
খাবার সময়ে পরিমিত খাবার খেতে ঠিক ইচ্ছে হবে।
অতিরিক্ত ভুড়ি বাগিয়ে ফেললে নিজেরই মুশকিল,
কেউ চাইলেও কিছুতেই খুঁজে পাবেনা তোমার দিল !
হাঁটা চলা করতেও কিন্তু , তোমার অনেক কষ্ট হবে,
এভাবেই একসময় হসপিটালের বেডে পৌঁছে যাবে।
তখন আর হা - হুতাশ করে কি এমন লাভ হবে  ?
প্রচুর টাকা খরচ, আর একগাদা ওষুধ গিলতে হবে।
কাঁড়ি কাঁড়ি প্রেশক্রিপশন দিয়ে হবে এক খাতা তৈরি,
তুমি তখন গিনিপিগ, এক্সপেরিমেন্টের এক সামগ্ৰী !
ওটস-কুকিজ, সয়াবিন, পপকর্ণ, পিনাট বাটার,
খেতে ভালো না লাগলেও খাওয়া খুব দরকার ।
এ কথা তো ঠিক যে শরীরটার যত্ন করতে হবে,
শরীরটাই মন্দির,ঈশ্বরের বাস,থাকতে হলে এই ভবে।
লোভ সত্যিই মানুষের শত্রু, রিপু, জেনে রেখো সবে।
সুদীর্ঘকাল সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছে যেন থাকে,
এই লোভ জিনিসটাকে তাই ত্যাগ করতে হবে আগে।