সন্ধ্যে পেরিয়ে যখন অনেক রাত
একঘেয়েমির যন্ত্রণা মেখে
এ পাশ ও পাশ করতে করতে
কখন যেন পাড়ি দিই ঘুমের দেশে।
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি,
ধু ধু প্রান্তরে হাঁটছি একাকী,
নিঃসঙ্গতা চারপাশ থেকে
আমাকে বিদ্রুপ করছে বারংবার।
তবু আমি হাঁটছি,এগিয়ে চলেছি।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত আমি,
অবসাদ আর হতাশায় যখন প্রায় অবসন্ন
ঠিক তখুনি দিগন্ত রেখায় ভেসে উঠে
আমার চেনা শহর, অতীতের সারনি বেয়ে।
- এখনো প্রানের স্পন্দন নিয়ে
মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে
দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তরে।


আমি স্বপ্নে দেখতে পাই
আমার শহর পুরনো ছন্দে কল্লোলিত।
মহল্লায় মহল্লায় সকাল থেকে
চলছে কর্মব্যস্ততা,
ছেলে মেয়েরা এক এক করে ব্যাগ কাঁধে
কলতান তুলে চলেছে স্কুলের পথে।
পাশের বাড়িতে করোনা হয়েছে বলে
যে জানলা গুলো আটোসাটো করে
বন্ধ করে রাখা ছিল,সেগুলো হুটহাট করে
খুলে গেছে আতঙ্কের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে।
পাশাপাশি দুই বাড়ির জানলা বেয়ে
ভেসে চলছে সুখ দুঃখের আদান প্রদান।
আমার স্নপ্নে দেখা দেয় বিকেলের পার্কের মাঠ,
একদল বাচ্চার হুল্লোড়, আনন্দ ঝর্ণার বান ডেকেছে।
ফুচকাওয়ালার সামনে দাঁড়ানো যৌবনের দূতেরা
গ্রোগাসে ফুচকা খাওয়ার প্রতিয়োগিতাতে মেতেছে,
হাসির লুটোপুটিতে গায়ে উছলে পড়ছে
ফুচকার টক জল,সেই জল
একটু একটু  করে ভিজিয়ে দিচ্ছে তাদের
মনের ভিতরে গুমরে থাকা চাপা কষ্ট গুলোকে।


আমি স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন দেখি রোজ রাতে।
বেঁচে থাকার স্বপ্ন,একবুক তাজা বাতাসের স্বপ্ন।
আমার ঘুমের ভিতর এক এক করে হাজির হয়
ভালো লাগা,ভালোবাসার গান।
মহা প্রলয়ের শেষে, নিস্তব্ধ নীরবতার মাঝে
আমরা বেঁচে আছি।
আমরা বেঁচে থাকব।।