সেই দিনের সেই রাতে,
একটি ছেলে বসেছিল একমুটু ভাত খেতে।
পাশের বাড়ির রানু এসে বলল কানু চল,
দেশটা এবার করবো স্বাধীন সব দামালের দল।
পাক বাহিনী এদেশটাকে রেখেছে ভাই ঘিরে,
তাদের এবার বুঝিয়ে দেবো তাদের মত করে।
তোর মনে নেই ভাই কথা,
স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন আমার জাতির পিতা।
যার যা আছে তাই নিয়ে করতে হবে লড়াই,
আয় চলে আয় ওরে কানু আর যে সময় নাই।
আর মুখে নেয়নি ভাত তুলে,
দেশ মাতাকে বাঁচাতে যায় আপন মাতা ভুলে।
ঘরে ছিল নব বধু বড়ই মোহিনী,
যাবার কালে নয়ন তুলে দেখেনি মুখখানি।
মাকে শুধু বলেছিল মাগো আমি যাই,
প্রাণ যায় যাক মাগো স্বাধীনতা যেন পাই।
আর বাধা দেননি মাতা,
বলেন তোরা ছাড়া কে আনবেরে দেশের স্বাধীনতা।
কাঁদবো নারে আমি,
যারে বাছা দেশ বাঁচা বাঁচা জন্মভূমি।
আর থাকেনি থেমে,
অস্ত্র ধরে ঝাপিয়ে পড়ে যুদ্ধের মাঠে নেমে।
যুদ্ধ চলে বিরামহীন
হঠাৎ একদিন
এইদিন বুঝি ছিল কানুর জীবনের শেষ দিন।
পাষাণ হৃদয় পাক বাহিনীর তমুল গুলির তুড়ে
ছিনড়বভিনড়ব কানুর শরীর চারদিকে যায় উড়ে।
একদিকে তার সুঠাম দেহ হাত পা অন্যখানে,
বীরের মত প্রাণ দিয়েও হার কভু না মানে।
এমনি করে শত কানুর জীবন দেবার পরে ,
স্বাধীনতা এসে দাড়ায় আমাদের কুড়ে ঘরে।