আমার বাড়ি দুর্গাপূজা ঢাকের ধ্বনি বাজে,
মা এসেছেন বছর ঘুরে ভিন্নরকম সাজে।
শরৎ প্রাতে গিয়েছিলাম তুলতে শেফালীকা,
চতুর্দিকে আধো আঁধার নীরব কুজ্জ্বটিকা।


আসার পথে পুকুর ঘাটের মুক্ত বাতায়ণে,
বসতে দেখি এক রূপসী একাকি আনমনে।
কাজল কালো আঁখির পলক এক ধ্যানে হেরি,
রক্তরাঙা ললাটে টিপ মধ্যে যুগল ভুরী।


গলেতে তুলসী মালা ওষ্ঠে পুষ্প হাসি,
প্রেম সাগরে পদ্ম যুগল উঠছে জলে ভাসি।
শিউলী ফুলের কলি দিয়ে দু’কানে তাঁর দুল,
মন হারালাম হঠাৎ করে পাইনি খুঁজে কুল।


মনের মাঝে প্রেমের বীণা সুমধুর ভঙ্গিতে,
উঠলো বেজে ঠিক তখনি সুরহারা সঙ্গিতে।
বলবো বলে ভালোবাসি মন করেছি স্থির,
হঠাৎ করে জমলো সেথা হাজার লোকের ভীড়।


অপেক্ষার অবসান শেষে পূর্ণ পূজার প্রাতে,
মুখোমুখি শ্যাম সখি মিলি যমুনাতে।
প্রথম প্রেমের প্রথম পরশ লাগলো তখন গায়,
শূন্য হৃদয় পূর্ণ হলো ভিন্ন হাতের ছোঁয়ায়।