শ্রাবন্তী
তোমাকে খুঁজেছি আমি বহুকাল,
দিবস রজনী থেকে স্নীগ্ধ সকাল।
তোমার অণ্বেষণে পৌছে যাই দিগন্তের শেষে নিষিদ্ধ প্রান্তরে,
কখনও তোমার পরশ পেতে ডুবে যাই অনুভুতির গভীরে।
যা অগন্তী।


শ্রাবন্তী
তোমার ঐ এলোমেলো চুলের বাহার,
কাপিয়েছে হৃদয় বহুদিন বহুবার।
তোমার ঐ ফুটন্ত যৌবনের রুপের কিরণ,
আমার আঁধার মনে করেছিল জ্যোৎস্না বিতরণ।
আপনি বেজেছিল প্রেমের মুরতী।


শ্রাবন্তী
জীবনের সবগুলো দিন সবগুলো চাওয়া,
তোমার জন্যই রঙ্গিন তোমার জন্যই পাওয়া।
তোমার অভিমানের প্রতিটি বিন্দু,
সূর্য গ্রহনের মত বিষাদসিন্দু।
হারিয়ে যায় বাঁচার শক্তি।


শ্রাবন্তী
যদি থাকি চাঁদের পাশাপাশি,
তার চেয়ে আলোকিত হয় তোমার হাসি।
যদি মেঘের আড়ালে থাকি,
তার চেয়ে অন্ধকার হয় তোমার কষ্ট ভরা আঁখি।
অন্ধকার পথে আবার তুমিই আলোর জ্যোতি।


শ্রাবন্তী
পৃথিবীর সমস্ত রূপ তোমার মাঝেই বিরাজ,
তোমার প্রতিটি অঙ্গের রয়েছে সঙ্গে রাজকীয় সাজ।
তোমার রুপের বর্ণনা কি দেবো আর,
খুঁজে পাইনা ভাষা তাই নিরাশা হৃদয়ে অপার।
তুমি যে সৃষ্টির সেরা রুপবতী।


শ্রাবন্তী
আমার অন্তরে তোমার নিত্য বিচরণ,
যা ছিল ধন জীবন যৌবন তোমারে করেছি অর্পন।
তোমার দৃষ্টি থেকে সৃষ্টি যে প্রেম বয়ে চলছে মহা্কাল,
তোমার মাঝেই অনাগত দিন আগত দিনের সকাল।
একবার কাছে এসে যেও ভালোবেসে এই মোর মিনতি।


শ্রাবন্তী
তুমি আমার কাছেই সব,
তুমি ছাড়া নিঃশ্ব আমার আয়োজন উৎসব।
লোকে বলুক যা ইচ্ছা তা কি বা আসে যায়,
আমিও না হয় কাটি সাতার প্রেমের যমুনায়।
যদি দাও অনুমতি।