(মূল কবিতার তিনটি কবিতা একসাথেই দিলাম ৷ দয়া করে পড়বেন)
            *বাসনার জন্ম*
স্বপন সারি আসে খালি দু’টি নয়ন ভ’রে,
পূরণ কবে হ’বে মিলি বল্ না আমায় ত্বরে ৷
তোর চোখে যা স্বপ্ন ছিল সত্য হ’ল ফলে,
বরণমালা যবে দিল কুমার তোর গলে ৷


শান্তিনীড় বানালি তোরা ভালোবাসা দিয়ে ৷
স্নেহমায়া সদাই তারা রাজে সেথায় গিয়ে ৷
ভালোবাসার পাথার মাঝে ডুবে তোরা গেলি ৷
ঘরে সদা সুখ হাসে দুঃখ কে দূরে ঠেলি ৷


ক্ষণিকের দুঃখ ও ভাই আসে যবে তোর সংসারে,
মিলেমিশে তোরা তখন রাখিস্ দূরে তারে ৷
ভালোবাসা দ্বিগুন হ’ল আবার তোদের ঘরে,
এলো যবে ছেলের কণা তোর কোলটি ভ’রে ৷


            *স্বপ্নে ভাসা*
আমি এক দুখী মালিনী রূপ মোর বড়ই কাঁচা ৷
তাই বুঝি ওহে মিলি মোরে ঘেরে স্বপ্ন সকল না বাঁচা ৷
নয়নে মোর স্বপন জাগে মৃত পরক্ষণে,
বিজন ঘাটে সময় কাটে চেয়ে শূণ্য ব্যোমে ৷


আমি এখন আছি রে ভাই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন নিয়ে ৷
আসবে আবার কবে ওরা মোর লাজুক আঁখি দিয়ে ?
দিন যায় রাত যায় বছর মাসের পরে,
ধ্যৈর্যের বাঁধ আর না রয় আমার আকুল ধরে ৷


আমার এ রূপকালিমায় গুণ আছে যে বিন্দুশাখায় !
গ’ড়ে তুলি মোর তুলিতে স্বপ্ন কুমার সাদা পাতায় ৷
ব’সে থাকি একা একা তার শ্রীমুখ চেয়ে ৷
মন মোর যায় ভেসে যায় অসীম গগন ধেয়ে ৷


যেথায় থাকে মোর কুমার দূরের স্বপ্নদেশে,
মন আমার সেথায় গিয়ে সুধায় তারে হেসে ৷
তুমি তোমার আপন দেশে আসবে কবে ফিরে ?
কবে তুমি আমায় নিয়ে যাবে অজানা ঐ ভিড়ে ?


কুমার আমায় বোঝায় হেসে কোমল পরশ অঙ্গে রাখি,
ত্বরা যাবো আপন দেশে অল্প ক’দিন আছে বাকি ৷
স্বপনভরা আঁখির সনে যাচ্ছি আমি কল্পে ভেসে—
সে আমায় সঙ্গে নিয়ে রওনা হ’ল কল্পদেশে ৷


সেথায় গিয়ে ঘর রচেছি স্নেহ-মায়া দিয়ে ৷
সে,আমি রাত জেগেছি স্বপ্ন চোখে নিয়ে ৷
হঠাৎ এসে রাখলি মিলি তোর হাতের পরশখানি,
স্বপ্ন সকল উবে গেল নয়নে ঘন তিমির টানি’ ৷
        
                 *স্বপ্ন পূরণ*
মন আমার উঠল নেচে সখী তোর কথা শ্রুতে ৷
ভালোবাসার আবেশ র’চে কুমার আসছে আমায় নিতে ৷
আমার এ ভরা যৌবনে আছে যত আকুলতা-উন্মাদনা,
ক্ষান্ত হ’ল শেষে এলো যবে কুমার মোর স্বপ্নে চেনা ৷


সে ভালোবাসার বরণমালা আমায় দিল পড়িয়ে ৷
সুখের অশ্রু পড়ছে ঝ’রে আমার এ দু’নয়ন দিয়ে ৷
নয়নে মোর স্বপ্ন বড় সার্থক হ’ল অবশেষে ৷
যবে আমার দেহের কণা ‘মা’ বলিল এসে ৷